এমনটা নয় যে, শ্রেয়স আইয়ার একেবারে জাতীয় নির্বাচকদের নজরের বাইরে চলে গিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিস্তর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ভিড়ে আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে শ্রেয়সকে বিন্দুমাত্র প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেননি অজিত আগরকররা।
তবে শ্রেয়সের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার নতুন লাইফলাইন পেতে পারে রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় গৌতম গম্ভীর ভারতের হেড কোচের পদে বসলে। অবিলম্বে ভারতের সীমিত ওভারের স্কোয়াডে ফিরতে পারেন নাইট অধিনায়ক। শ্রেয়সকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে দেখা যেতে পারে। এমনকি তার আগে জিম্বাবোয়ে সফরের টি-২০ সিরিজেও জাতীয় দলে ফিরতে পারেন আইয়ার।
টি-২০ বিশ্বকাপের ঠিক পরেই ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে জিম্বাবোয়ে উড়ে যাবে ভারতীয় দল। তার পরে জুলাইয়েই ৩টি ওয়ান ডে ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে টিম ইন্ডিয়া। শ্রীলঙ্কা সফরেই শ্রেয়সের জাতীয় দলে কাম ব্যাকের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। এই মুহূর্তে শ্রেয়সকে ছাড়া ভারতের ওয়ান ডে স্কোয়াড গড়া হবে বলে মনে হয় না। তবে পরিস্থিতি অনুকূল হলে জিম্বাবোয়ে সফরেও শিকে ছিঁড়তে পারে শ্রেয়সের সামনে।
এই মুহূর্তে আইপিএলে নজর কাড়া বেশ কিছু তরুণ ক্রিকেটার বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি সারছেন। জিম্বাবোয়ে সফরের কথা ভেবেই যে তৈরি রাখা হচ্ছে নতুনদের, সেটা বুঝে নিতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। কেননা আইপিএল ও বিশ্বকাপের মতো ২টি বড় টুর্নামেন্টের শেষে সিনিয়র ক্রিকেটার নিয়ে জিম্বোবোয়ে সফরে যাবে ভারত, এমনটা ভাবা বোকামি। সিনিয়রদের বিশ্রাম দিয়ে জিম্বাবোয়েতে ভারতের দ্বিতীয় সারির দল পাঠানো কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শ্রেয়স আইয়ার এই মুহূর্তে এনসিএতে নেই।
বিসিসিআইয়ের এক সূত্র এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘শ্রেয়স এই মুহূর্তে এনসিএতে নেই। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তারাই রয়েছে, যারা আইপিএলে ভালো খেলেছে এবং জিম্বাবোয়ে সফরের জন্য যাদের নাম বিবেচনায় রয়েছে। অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ, মায়াঙ্ক যাদব, হর্ষিত রানা, নীতীশ রেড্ডি, বিজয়কুমার বৈশাক, যশ দয়ালরা ক্যাম্পে রয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ নিশ্চিতভাবেই জিম্বাবোয়ে সফরে যাবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘শ্রেয়সের ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রেয়স ভারতের হয়ে শেষ যে ওয়ান ডে ম্যাচটি খেলেছে, তাতে হাফ-সেঞ্চুরি (৫২) করেছে। তার আগে বিশ্বকাপে ৫০০-র বেশি (৫৩০) রান করেছে ও। এমন পারফর্ম্যান্সের পরে ওকে বাদ দেওয়া যায় নাকি!’