প্রথম ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতিতে অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় লড়াই চালান তেম্বা বাভুমা। সতীর্থদের কাছ থেকে তেমন একটা সঙ্গত না পেলেও একা ৭০ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে পৌঁছতে সাহায্য করেন তিনি।
ডারবানের পিচে ব্যাট করা কতটা কঠিন, সেটা বোঝা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। শ্রীলঙ্কা পালটা ব্যাট করতে নেমে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মোটে ৪২ রানে। সারা দিনে পড়ে মোট ১৯টি উইকেট। সুতরাং, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৪৯ রানের লিড নেয় ক্যাপ্টেন বাভুমার দৌলতেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৩ উইকেটে ১৩২ রান তুলে। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ৫ উইকেটে ৩৬৬ রান তুলে। প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করা বাভুমা দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত শতরান করেন। তিনি ১১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২২৮ বলের দাপুটে ইনিংসে তেম্বা ৯টি চার মারেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শতরান করেন ত্রিস্তান স্টাবসও। তিনি ২২১ বলে ১২২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। লড়াকু ইনিংসে তিনি ৯টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এছাড়া প্রোটিয়াদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ বলে ৪৭ রান করেন এডেন মার্করাম। ১১ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড বেডিংহ্যাম। টনি ডি'জর্জি ১৭ ও উইয়ান মাল্ডার ১৫ রানের যোগদান রাখেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি করে উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্ডো ও প্রবথ জয়সূর্য।
সুতরাং, প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১৬ রানের। তৃতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১০৩ রান তোলে। সুতরাং, জিততে শেষ ২ দিনে শ্রীলঙ্কার দরকার আরও ৪১৩ রান। তাদের হাতে রয়েছে মোটে ৫টি উইকেট। সুতরাং, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ডারবান টেস্টে শ্রীলঙ্কার হার কার্যত নিশ্চিত দেখাচ্ছে।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথুম নিশঙ্কা ২৩, দিমুথ করুণারত্নে ৪, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৫, কামিন্দু মেন্ডিস ১০ ও প্রবথ জয়সূর্য ১ রান করে আউট হন। দীনেশ চণ্ডীমল ২৯ রান করে তৃতীয় দিনের শেষে অপরাজিত থাকেন। ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা শূন্য রানে নট-আউট থাকেন।
প্রথম ইনিংসে ৭টি উইকেট নেওয়া মারকো জানসেন দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ২টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ১টি উইকেট নিয়েছেন জেরাল্ড কোয়েটজি।