২০০৭-এ টিম ইন্ডিয়া যখন প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে, রোহিত শর্মা ছিলেন ভারতায় দলে। তবে বিরাট কোহলি ছিলেন না। পরে ২০১১ সালে ভারতের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের শরিক হন বিরাট কোহলি। তবে রোহিত শর্মা সুযোগ পাননি ভারতীয় স্কোয়াডে। সুতরাং, রোহিত ও কোহলি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন আগেই। যদিও এর আগে একসঙ্গে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলতে পারেননি দুই তারকা।
২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে যায় ভারত। সেই দলে ছিলেন রোহিত-কোহলি দু'জনেই। ২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালেও পরাজিত হয় টিম ইন্ডিয়া। সেখানেও রোহিতের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালান বিরাট। অবশেষে ২০২৪-এর টি-২০ বিশ্বকাপে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ট্রফি হাতে তুলতে সক্ষম হন আধুনিক ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি।
ব্রিজটাউনের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পরে ট্রফি ঘোরাফেরা করতে থাকে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাতে। রোহিতের হাত থেকে সূর্যকুমার, তো আবার কখনও জসপ্রীত বুমরাহর হাতে চলে যায় বিশ্বকাপের ট্রফি। সকলেই বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ছবি তোলেন বিস্তর। তবে ভারতীয় সমর্থকরা ঐতিহাসিক একটি ফ্রেম উপহার পান বিরাটের সৌজন্যে।
কোহলির সৌজন্যে ঐতিহাসিক ফ্রেম উপহার পায় ভারতীয় ক্রিকেট:-
ভিকট্রি ল্যাপ সারা হলেও বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে একসঙ্গে কোনও ছবি তোলেননি। অথচ দুই তারকাই জানতেন যে, দেশের জার্সিতে আর কখনও টি-২০ ক্রিকেটে মাঠে নামবেন না তাঁরা। সুতরাং, টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে পাশাপাশি দাঁড়ানোর সুযোগ হবে না আর কখনই। শেষমেশ কোহলি এসে ট্রফি তুলে দেন রোহিতের হাতে। পিছনে তুলে ধরেন জাতীয় পতাকা।
ঐতিহাসিক ছবি নিয়ে কী বলেন কোহলি:-
এমন ঐতিহাসিক ছবিটি প্রসঙ্গে পরে মুখ খোলেন বিরাট নিজে। স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ‘ওর (রোহিতের) জন্যও বিশ্বকাপ জয় অত্যন্ত বিশেষ সন্দেহ নেই। ওর পরিবার এখানে রয়েছে। সামাইরা ওর কাঁধে ছিল। আমার মনে হল যে, ভিকট্রি ল্যাপে ও সারাক্ষণ পিছনে ছিল। আমি বলি যে, তুইও তো একটু ট্রফিটা হাতে নে।’
পরক্ষণেই কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হল আমাদের একসঙ্গে একটা ছবি তোলা উচিত। কেননা আমাদের এই যাত্রাটা দীর্ঘদিনের। বহু বছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলে আসছি। নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি যাতে ভারতীয় ক্রিকেটে এই দিনটা আসে। ক্যাপ্টেন-লিডার, লিডার-ক্যাপ্টেন, আমরা শুধু একটা লক্ষ্যেই কাজ করে গিয়েছি। সেটা হল ভারতীয় ক্রিকেট। ওই ছবিটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য উৎসর্গ করা।’