ঘরে-বাইরে যেখানেই টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামুক না কেন, বাংলাদেশ সর্বদা আন্ডারগড হিসেবেই বিবেচিত হবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। বিশেষ করে নিজেদের ডেরায় ভারতকে হারানো কতটা কঠিন, সেটা বোঝে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলও। তাই আসন্ন ভারত-বাংলাদেশ সিরিজে ফেভারিটের তকমা পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়াই।
তবে গত মাসে পাকিস্তান সফরে গিয়ে যে অসাধ্যসাধন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, সঙ্গত কারণেই তা বাড়তি সমীহ আদায় করে নিচ্ছে ক্রিকেটবিশ্বের। অ্যাওয়ে সিরিজে তো বটেই, বরং টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথমবার পাকিস্তানকে হারানোর কৃতিত্ব অর্জন করে তারা।
শুধু একটি বিচ্ছিন্ন টেস্ট ম্যাচ জয় নয়, বরং পাকিস্তান সফরে গিয়ে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানকে ২ ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে তারা ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট জেতে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে। পাকিস্তান সফরে গিয়ে পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ, এমন ঘটনার কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি।
সঙ্গত কারণেই পাকিস্তানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে ভারত সফরে আসছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। অন্তত নিতান্ত হালকাভাবে যে নেওয়া যাবে না বাংলাদেশকে, সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়।
পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্স যে শুধুমাত্র সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর কেড়েছে, এমনটা নয় মোটেও। বরং টিম ইন্ডিয়ার তারকাদেরও নজর ছিল বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্সে। সেটা বোঝা যায় শুভমন গিলের কথাতেই। জিও সিনেমার সাক্ষাৎকারে গিল স্পষ্ট জানান যে, বাংলাদেশ গত কয়েক মাসে যে ধরণের পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছে, তাতে কোনওভাবেই তাদের খাটো করে দেখা যাবে না।
গিল বলেন, ‘কোনও আন্তর্জাতিক দলকেই খাটো করে দেখা যায় বলে আমি মনে করি না। গত কয়েক মাসে, বিশেষ করে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ যে রকম ক্রিকেট খেলেছে, এককথায় চমকপ্রদ। যেভাবে ওদের পেস বোলাররা এবং মিডল অর্ডার ব্যাটাররা চাপ সামলে নিজেদের মেলে ধরেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমি নিশ্চিত, এটা একটা আকর্ষক সিরিজ হতে চলেছে।’
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে খেলা হবে ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে খেলা হবে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের পরে ভারতের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।