শুভব্রত মুখার্জি:- চলতি বছরের শেষেই ভারতীয় দল যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সফরে। সেখানে লাল বলের ফর্ম্যাটে মুখোমুখি হবে দুই দল। আগামী নভেম্বর মাস থেকে শুরু হবে এই টেস্ট সিরিজ। ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা এই সিরিজ ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই, অস্ট্রেলিয়ার কাছেও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেই দুটি সিরিজে নিজেদের দেশের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে হেরে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এবারে যে তারা সিরিজ জিততে মুখিয়ে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। তবে তাদের এই সিরিজ জয়ের পথে যে বড় অন্তরায় হতে পারেন ভারতীয় মহাতারকা বিরাট কোহলি তা তারা বিলক্ষণ জানেন। আর এমন আবহে অজিদের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলিকে নিয়ে বড় দাবি করেছেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য বিরাটের ভাবনা চিন্তা অস্ট্রেলিয়ানদের মতন।
আরও পড়ুন… FIFA World Cup 2026 Qualifiers: ৫৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা প্যারাগুয়ের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেল ব্রাজিল
স্টিভ স্মিথের মতে ভাবনাতে তো বটেই এমনকি কাজেও অনেক বেশি অস্ট্রেলিয়ান বিরাট কোহলি! আসন্ন বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। যার মধ্যে টেস্টগুলো খেলা হবে পার্থ, অ্যাডিলেড (গোলাপি বলের টেস্ট), ব্রিসবেন, মেলবোর্ন এবং সিডনিতে। ২০১৮-১৯ এবং ২০২০-২১ মরশুমে অস্ট্রেলিয়াতে এসে ভারতীয় দল ঐতিহাসিক সিরিজ জিতে ফিরেছে। দীর্ঘদিন হল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিততেও পারেনি অস্ট্রেলিয়া দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে কোন দল যাবে সেইক্ষেত্রেও নির্ণায়ক হতে পারে এই সিরিজ। ফলে এই সিরিজের আলাদাই একটা গুরুত্ব রয়েছে। চ্যালেঞ্জ যত কঠিন হয়েছে তত ভালো পারফরম্যান্স লক্ষ্য করা গেছে।
এই বহু প্রতীক্ষিত সিরিজ শুরুর আগে স্টার স্পোর্টসের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে স্টিভ স্মিথকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমি বিশ্বাস করি ভাবনা চিন্তায় এবং কাজে বিরাট কোহলি একজন অস্ট্রেলিয়ান। যেভাবে যে কোনও লড়াইতে ও অনায়াসে ঢুকে যায়, যেভাবে যে কোন চ্যালেঞ্জকে ও মোকাবিলা করে, বিরুদ্ধের উপর আধিপত্য বিস্তার করে তা এককথায় অনবদ্য। ভারতের যত ক্রিকেটার রয়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি চিন্তাভাবনার দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওকেই আমার মনে হয়।’
আরও পড়ুন… আই লিগকে ঢেলে সাজাতে AIFF-এর বড় উদ্যোগ! টাস্ক ফোর্সের রিপোর্ট দেখে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত
তিনি আরও বলেন, ‘বিরাট কোহলির প্রতিটা বিষয় বাস্তব। আমার সবসময়ে চেষ্টা থাকে ২২ গজে ওঁকে হারানোর। দেশের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়াই লক্ষ্য। দলের হয়ে খেলা, যতটা সম্ভব রান করার দিকেই আমি লক্ষ্য দিই। অস্ট্রেলিয়াকে সাফল্য এনে দেওয়া আমাদের সবার কাজ। ব্যক্তিগত স্তরে বিরাটের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। মাঝেমধ্যে কথা হয়। আমরা একে অপরের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করি। একে অপরকে আমরা খুব শ্রদ্ধা করি। আমরা দুজনেই আমাদের দেশের হয়ে লড়াই করতে সবসময়ে মুখিয়ে থাকি।’