শুভব্রত মুখার্জি: বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে গত ২৯ জুন টি-২০ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারত। তার কয়েক দিন পরেই ভারতীয় দল গিয়েছে জিম্বাবোয়ে সফরে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে শুভমন গিলের নেতৃত্বে গিয়েছে ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছিল ভারতীয় দল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠে ভারতীয় দল পরবর্তী দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজে লিড নেয় তারা। শনিবার চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। এই ম্যাচে জিতলে সিরিজ নিশ্চিত হত ভারতীয় দলের। সেই ম্যাচ ভারত একেবারে অনায়াসে জিতে নিয়েছে। যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গিয়েছে জিম্বাবোয়ে দল। জিম্বাবোয়েকে হারিয়ে দিয়ে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে ভারতীয় দল। আর এই ম্যাচেই এক নয়া নজির স্পর্শ করে ফেলেছে ভারতীয় দল।
শুক্রবারের ম্যাচ ভারতীয় দল জিতেছে ১০ উইকেটে। পুরুষদের আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটি ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ, যেখানে তারা দশ উইকেটে জিতল। ঘটনাচক্রে ভারতের প্রথম দশ উইকেটে জয়টিও এসেছিল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধেই। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে দুটি ম্যাচ ভারত দশ উইকেটে জিতেছে। আর দুটি জয় এসেছে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। তারা প্রথম বার ১০ উইকেটে জিতেছিল ২০১৬ সালে। সেবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ভারত জয়ের জন্য ১০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে জিতেছিল। আর এবার তারা জয়ের জন্য ১৫৩ রান তাড়া করে জিতল। এদিন ২৮ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে বিরাট বড় জয় পেয়েছে ভারতীয় দল।
আরও পড়ুন: ভারতের লেজেন্ডদের হাতেও বধ পাকিস্তান, ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ানশিপের শিরোপা জিতে ইতিহাস যুবিদের
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবের উইকেটে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫২ রান করে। এদিন তাদের হয়ে শুরুটা বেশ ভালো করেছিলেন দলের দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে এবং তাদিওয়ানাশে মারুমানি। দুজনে মিলে জুটিতে ৬৩ রান তোলেন। মাধেভেরে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান। মারুমানি করেন ৩২। মাধেভেরে ৪ টি এবং মারুমানি ৩ টি বাউন্ডারি মেরেছেন তাদের ইনিংসে। এদিন জিম্বাবোয়ের হয়ে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেছেন সিকন্দর রাজা। তিনি মাত্র ২৮ বলে ৪৬ রান করেছেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ২ টি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারিতে। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার বলার মতন রান পাননি। ভারতের হয়ে দুটি উইকেট নেন খলিল আহমেদ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই ভারতীয় ওপেনার শুভমন গিল এবং যশস্বী জয়সওয়াল দুরন্ত ব্যাটিং করেন। বিশেষ করে খুনে মেজাজে ব্যাট করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। জিম্বাবোয়ে বোলারদেরকে বেদম পিটুনি দিয়েছেন তিনি। তাঁর এবং গিলের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে ভর করেই ভারতীয় দল এদিন দশ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করে। যশস্বী জয়সওয়াল মাত্র ৫৩ বল খেলে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাঁর ইনিংসে তিনি মারেন ১৩ টি চার এবং দুটি ছয়। শুভমন গিল ৩৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় দল ১৫.২ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।