নিজের শেষ টেস্ট দেশের মাটিতে খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। কিন্তু তা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা যায় প্রথম থেকেই। বর্তমানে সেদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের তরফে শাকিবকে প্রথমে নিরাপত্তা দিতে অস্বীকার করা হয়। তবে পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। এখন শাকিব আল হাসানের বাংলাদেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার সম্ভাবনা বেশ জোরালো। এমত পরিস্থিতিতে ফের আরও এক বড় মন্তব্য করলেন সে দেশের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। রবিবার মীরপুর স্টেডিয়ামে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি স্পষ্ট করেন, ‘শাকিবের দেশে ফেরা বা ত্যাগ নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়’।
মূলত নতুন সরকার আসার পরেই শাকিবের বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা সামনে আসে। সেই থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বাংলাদেশে শাকিব কি ফিরতে পারবেন আর ? এই বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে আসিফ বলেন, ‘তিনি একজন ক্রিকেটার, তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। আসার ব্যাপারে তো আমি কোনও বাধা দেখতে পারছি না। প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব’।
তবে শাকিবের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই মীরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে প্রচার চলছে। এই ঘটনাকে সেদেশের ক্রীড়া ও যুব উপদেষ্টা আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছেন। অন্যদিকে তিনি দেশবাসীকে এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন মাঠের বাইরের যে কোনও খারাপ পরিস্থিতির প্রভাব সিরিজে পড়তে পারে।
আসিফ বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যেহেতু এখানে সাউথ আফ্রিকা আসবে, আমাদেরও পরিবেশটা ভালো রাখতে হবে। না হলে বাইরের দেশগুলো এখানে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করবে।’ তিনি আহ্বান জানিয়েছেন কারও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে। যদি কেউ সত্যিই দোষী হয়, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি কিছুদিন আগে ফেসবুক পোস্টে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন শাকিব আল হাসান। সেখানে তিনি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চুপ থাকা নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে আসিফ বলেন, ‘একটা বড় আন্দোলন হয়েছে এবং শাকিব আল হাসান আগের ফ্যাসিবাদী সরকারের সঙ্গে যোগ ছিল। এ ব্যাপারে উনি ওঁনার পোস্টে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তারপরও কিছু আবেগ রয়ে গেছে। তবে কোনও আইনি সমস্যা এখন পর্যন্ত নেই বলেই দেখা যাচ্ছে।’