ব্যাজবল শৈলী নজরকাড়া সন্দেহ নেই। টেস্ট ক্রিকেটকে আকর্ষক করেছে ইংল্যান্ডের আগ্রাসী মেজাজ। তবে মাঝে মধ্যেই ব্যাজবল বুমেরাং হয়ে আঘাত হানে ব্রিটিশ শিবিরে। বাড়তি আগ্রাসী হয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ হারতেও দেখা যায় প্রায়শই। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে ঠিক তেমনটাই ঘটে। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া সত্ত্বেও বাড়তি আগ্রাসনের জন্যই ডুবতে হয় ইংল্যান্ডকে।
শ্রীলঙ্কার কাছে ওভাল টেস্টে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে কড়া ভাষায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সমালোচনা করে প্রাক্তন ব্রিটিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিনি স্পষ্ট দাবি করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে খাটো করে দেখার মাশুল দিতে হয় ইংল্যান্ডকে। এমনকি ওলি পোপরা টেস্ট ক্রিকেটকে কার্যত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন বলেও মত প্রকাশ করেন ভন।
ম্যাঞ্চেস্টার ও লর্ডসে পরপর ২টি টেস্ট জিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। সিরিজ মুঠোয় চলে আসে বলেই সম্ভবত ওভালের তৃতীয় টেস্টে মাত্রাতিরিক্ত আগ্রসন দেখায় ইংল্যান্ড। তারা প্রথম ইনিংসে একসময় ৩ উইকেটে ২৬১ রানে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ৩২৫ রানে।
এমনকি শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানে আটকে রেখে প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬২ রানের লিড নিয়ে নেয় ইংল্যান্ড। তার পরে ব্রিটিশরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৫৬ রানে। শেষ ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২১৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। শেষ ইনিংসে আগ্রাসী ফিল্ড সেট করার মাশুল গুনতে হয় ইংল্যান্ডকে। পাথুম নিশঙ্কারা সেই সুযোগে অনায়াসে রান সংগ্রহ করতে থাকেন।
দ্য টেলিগ্রাফে এই নিয়ে মাইকেল ভন মন্তব্য করেন, ‘ওরা (ইংল্যান্ড) টেস্ট ক্রিকেটকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছে। ব্যাটিং এবং ফিল্ড প্লেসিংয়ে যে রকম বাড়তি আগ্রাসন দেখায়, তাতে বোঝা যায় যে ওরা প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কাকে সমীহ করেনি। ভালো খেলার পরেই আত্মতুষ্টিতে ভোগা অভ্যাসে পরিণত করেছে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজের শুরুতে এবং বছরের শুরুতে রাজকোটেও এমনটা দেখা গিয়েছে। আশা করি এই হার ওদের চোখ খুলে দেবে। কেননা ২০২৫-এ কঠিন সব টেস্ট ম্যাচ অপেক্ষা করে রয়েছে।’
মাইকেল ভন পরক্ষণেই সতর্ক করেন ইংল্যান্ড দলকে। তিনি জানান যে, ‘শুধু মাত্র আক্রমণ করে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন মুহূর্তগুলি সামলানো যায় না। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এভাবে খেলে পার পেয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’