ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেও হার বাংলাদেশের, একই সঙ্গে হোয়াইটওয়াশ সিরিজে। এরপরই এই ভারতে ‘আগে দেখেননি’ বলে স্বীকার করে নিলেন বাংলাদেশের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কানপুরে দ্বিতীয় ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের বেশিরভাগটাই নষ্ট হয় বৃষ্টির জন্য। প্রথম দিন ৩৫ ওভার খেলে ১০৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচের ফয়সালা হওয়া অসম্ভব। মাঝে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে মাঠ পুরো ঢেকে রাখা হয়। চতুর্থ দিনে ফের শুরু হয় খেলা, আলাদাই পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামে ভারত। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মাথায় রেখে টেস্ট কে টি-২০ ক্রিকেটে পরিণত করে রোহিত-বিরাটরা। প্রথম ইনিংসে ভারত ২৩৩ রানে বাংলাদেশকে অলডাউন করে দেয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ২৮৫/৯ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে বুমরাহ-অশ্বিনদের দাপটে ১৪৬ রানে অলডাউন হয়ে যায় শাকিবরা। ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯৫ রান। ১৭.২ ওভারেই সেই রান করে ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় পায় ভারত। এরপরই বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আমরা এর আগে এরকম মানসিকতা দেখিনি। তাই আমরা দ্রুত প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারিনি ম্যাচে। অবশ্যই জয়ের জন্য রোহিত শর্মা এবং তাঁর দলকে কৃত্বিত দিতে হবে’। কোচ হাথুরুসিংহে আরও বলেন,'পরাজয় নিশ্চই বেদনাদায়ক। আমরা ভালো ব্যাট করতে পারেনি। গত কয়েকটি সিরিজে আমরা আমাদের যোগ্যতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি’। তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ব্যাটম্যানদের থেকে কী বোলাররা ভালো খেলেছে? তিনি উত্তরে বলেন, ‘উভয়ই আমার খেলোয়াড়। আসলে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারত খুবই উন্নত। আমরা এই সিরিজ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি’।
প্রাক্তন এই শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান আরও বলেন, ‘ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে পেরে আমাদের লাভ হয়েছে। আমরা এবার জেনে গিয়েছি কোন জায়গাগুলিতে আমাদের উন্নতি করতে হবে’। শাকিব আল হাসানের এটি শেষ টেস্ট ম্যাচ নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি। বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘আমি যতদূর এখনও পর্যন্ত জানি এটা তাঁর শেষ টেস্ট ম্যাচ নয়। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে খেলবেন তিনি’। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে যাবে সাউথ আফ্রিকা। সেখানেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে নিজের শেষ ম্যাচ খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শাকিব আল হাসান। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।