ভারত শেষবার যখন ব্রিসবেন টেস্টে মাঠে নামে, শুভমন গিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ৩২৮ রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয়। এবার অ্যাডিলেট টেস্টে হেরে ভারত খেলতে নামছে গাব্বায়। তা সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র চাপে দেখাল না টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কিকে।
প্রথমেই অ্যাডিলেডের ডে-নাইট টেস্টে হারের প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘গোলাপি বলে গতিপ্রকৃতি বুঝে ওঠা তুলনায় কঠিন। বিশেষ করে রাতে বলের সিম পজিশন ও বোলারের হাত লক্ষ্য করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আমরা লাল বলের সঙ্গে তুলনায় সড়গড়। আমরা গোলাপি বলে খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি।’
ব্রিসবেন টেস্টের প্রসঙ্গে ফিরে গিল বলেন, ‘২০২১-এর পরে এই মাঠে ফিরে স্মৃতিমেদুর মনে হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে ভালো পিচ। কাল আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব।’
১-১ সমতায় দাঁড়িয়ে থাকা সিরিজ প্রসঙ্গে গিল বলেন, ‘যদি আপনি না জেতেন, তাহলে ভয়ে ভয়ে থাকতে পারেন। আমরা গতবার এখানে জিতেছিলাম এমনকি পরে ভারতেও জিতেছি। কে বল করছে, সেই বিষয়ে বর্তমান প্রজন্মের কোনও মাথা ব্যাথা নেই। তারা শুধু বল দেখে।’
অ্যাডিলেড টেস্টে নিজের আউট হওয়া নিয়ে গিল বলেন, ‘যতক্ষণ ব্যাট করছিলাম, অস্বস্তিতে ছিলাম না। প্রথম ইনিংসের ক্ষেত্রে বলব, পিচের অন্য প্রান্তে যা ঘটছিল, তার প্রভাব পড়ে আমার খেলায়। আমি একটা ফুল নেলথ বল মিস করে যাই। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারের হাত থেকে গোলাপি বল ঠিকমতো পড়তে পারিনি। অস্ট্রেলিয়ায় এটাই মানসিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি যে, নিজের মতো করে খেলার স্বাধীনতা রয়েছে আমার।’
উল্লেখ্য, আন্তঃস্কোয়াড প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলে চোট পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পার্থ টেস্টে মাঠে নামতে পারেননি শুভমন গিল। তার বদলে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে যান দেবদূত পাডিক্কাল। তবে তিনি ব্যাট হাতে নজর কাড়তে পারেননি।
অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় টেস্টে চোট সারিয়ে দলে ফেরেন গিল। তিনি প্রথম ইনিংসে সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ৩১ রান করে আউট হন শুভমন। অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো খেলছিলেন গিল। তবে হঠাৎই থেমে যায় তাঁর ইনিংস। গিল ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ বলে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।