সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় দল তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলে বলে রোহিতদের কৃতিত্বকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেন অনেকে। বিশেষ করে ব্রিটিশ প্রাক্তনীরা ভারত বাড়তি সুবিধা পেয়েছে বলে চিৎকার করতে থাকেন। মাইকেল ভন তো সরাসরি কটাক্ষ করেন যে, ভারত তাদের ঘরের মাঠে খেলেছে। অর্থাৎ, দুবাইয়ে কার্যত হোম অ্যাডভান্টেজ পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া, এমনটাই দাবি তাঁর।
ওয়াসিম আক্রম অবশ্য এমন বিতর্ককে মোটেও পাত্তা দিতে চাইলেন না। ভারতের অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলে আক্রম স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, শুধু দুবাইয়ে কেন, বিশ্বের যেখানেই খেলা হতো না কেন, ভারত চ্যাম্পিয়ন হতো। কেননা, ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতোই ক্রিকেট খেলেছে।
'যেখানেই খেলানো হোক, জিতত'
দ্য ড্রেসিংরুম শো-এ আক্রম বলেন, ‘ভারতের এই দলটা বিশ্বের যেখানেই খেলানো হোক না কেন, চ্যাম্পিয়ন হতো। হ্যাঁ, এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবে যখন আগে থেকেই ঠিক হয়েছিল যে, ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে, অযথা বিতর্ক তৈরি অযৌক্তিক। ভারতীয় দলকে যদি পাকিস্তানেও খেলানো হতো, তা হলে তারা সেখানেও চ্যাম্পিয়ন হতো।’
আক্রম পরক্ষণেই বলেন, ‘ভারতীয় দল ২০২৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জেতে একটিও ম্যাচ না হেরে। এবার ওরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতে একটিও ম্যাচ না হেরে। এটাই বুঝিয়ে দেয় ওদের ক্রিকেটের গভীরতা ও দাপট কতটা এবং নেতৃত্ব কত দৃঢ়।’
'চারজন স্পিনার খেলানোর জন্য সাহস দরকার হয়'
ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য কতটা পরিকল্পনা করেছে এবং তার বাস্তবায়নে কতটা সাহস দেখিয়েছে, সেই বিষয়েও আলোচনা করেন আক্রম। এক্ষেত্রেও ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্টের প্রশংসা শোনা যায় পাক স্পিডস্টারের মুখে। প্রাক্তন পাক তারকা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলতে হবে জেনেই ভারত সেই মতো পরিকল্পনা করে। ওরা নিশ্চিতভাবেই দুবাইয়ের টি-২০ ম্যাচগুলো দেখেছে। বুঝেছে যে, ওখানের পিচে স্পিনারদের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য থাকবে। সেই অনুযায়ীই ওরা ১৫ জনের স্কোয়াডে ৫ জন স্পিনার নিয়েছে।’
ওয়াসিম আরও যোগ করেন, ‘শুধু স্কোয়াডে ৫ জন স্পিনার নেওয়াই নয়। ভারত ম্যাচে চারজন স্পিনার খেলিয়েছে। এমন একটা টুর্নামেন্টে চারজন স্পিনার খেলাতে হলে সাহসের দরকার হয়। ওরা সেই সাহস দেখিয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে, ওদের লিডারশিপ গ্রুপ কতটা পরিণত। কোচ-ক্যাপ্টেন কতটা সাহসী হলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’