সম্প্রতি দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত শতরান করে লাইমলাইটে চলে এসেছেন সঞ্জু স্যামসন। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছিলেন তৃতীয় টি২০ ম্যাচে, কিন্তু সেটা ছিল ঘরের মাঠে। আর প্রতিপক্ষ দলের নামও ছিল বাংলাদেশ। যাদেরকে কোনওভাবেই ক্রিকেটের কুলিন দলগুলোর মধ্যে ফেলা হয়না। কিন্তু প্রোটিয়াদের ডেরায় গিয়ে জানসেন, রাবাদাদের জব্দ করতেই এখন হিরো হয়ে গেছেন কেরলের এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন-অজিভূমে যাওয়ার আগেই স্লেজিং শুরু, খারাপ ফর্ম নিয়ে বিরাটকে মারাত্মক খোঁটা দিলেন পন্টিং
দঃ আফ্রিকার মাটিতে সফল সঞ্জু, অস্ট্রেলিয়ায় জুরেল-
ভারতীয় ক্রিকেট দলের এখন চেনা মুখ ধ্রুব জুরেল এবং সঞ্জু স্যামসন। একজন দঃ আফ্রিকায় গিয়ে শতরান করেছেন প্রথম টি২০ ম্যাচেই। আরেকজন ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলতে গিয়ে, অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে। আর এই দুই ক্রিকেটারের বিদেশেরম মাটিতে ভালো পারফরমেন্সের পিছনে হাত রয়েছে রাজস্থানের।
জোড়া ইনিংসে অর্ধশতরান জুরেলের-
এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট এ দলের জার্সিতে মেলবোর্নের কঠিন উইকেটেও দুই ইনিংসে লড়াকু পারফরমেন্স দেখান রাজস্থান রয়্যালসের আরেক ক্রিকেটার ধ্রুব জুরেল। আইপিএলের দলের অধিনায়র সঞ্জু স্যামসনের শতরানের সময়ই, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুরন্ত ইনিংস খেলেন জুরেল। অজি বোলারদের সামনে যখন বাকি এ দলের ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারছেন না, তখনই দুই ইনিংসে অর্ধশতরান করেন জুরেল। এবার এই দুই ক্রিকেটারেরই বিদেশে মাটিতে গিয়ে এই পারফরমেন্সের রহস্য ফাঁস করলেন রাজস্থান রয়্যালসের হাই পারফরমেন্স কোচ জুবিন ভারুচা।
আরও পড়ুন-ODI ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গিয়েছে! অথচ নিজেই জানতেন না! অবাক করা গল্প বললেন পাক ক্রিকেটার!
সঞ্জু ও ধ্রুব জুরেলকে রিটেন করে রয়্যালসরা-
আগামী আইপিএলের রিটেনশন রয়েছে আর কদিন পরেই। তাঁর আগেই ১৮ কোটি টাকায় অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন এবং ১৪ কোটি টাকায় ধ্রুব জুরেলকে দলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রয়্যালস টিম ম্যানেজমেন্ট। এই দুই যুব ক্রিকেটারই যে তাঁদের ভবিষ্যৎের তারকা হয়ে উঠতে পারেন, সেটা আগেই বুঝেছিল রাজস্থান শিবির, বলছেন ভারুচা।
আরও পড়ুন-'আমাদের দেশে আসছে না তো, আমরাও আর ভালো ব্যবহার…'! BCCIকে চরম বার্তা পাকিস্তানের…
এখানে হাইপরফরমেনস্ সেন্টারে বাউন্সি ট্র্যাকে অনুশীলন-
জুবিন ভারুচা বলছেন, ‘ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে জুরেল খেলার সুযোগ পাননি। এখান থেকেই সরাসরি ও অস্ট্রেলিয়ায় গেছে। আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি, ওদের অনুশীলনের সময় সব রকমের উইকেটে প্র্যাকটিস করাতে। জুরেল বলল, এমসিজিতে ৮এমএম-এর ঘাস রয়েছে। কিন্তু আইপিএলের পর হাইপারফরমেন্স সেন্টারে আমরা ১২এমএম ঘাসের পিচে প্র্যাকটিস করেছি, যেখানে জুরেল, রিয়ান পরাগ আর সঞ্জুও অনুশীলন করেছিল দলীপ ট্রফির আগে ’।
সঞ্জুকে দুবাইতে অনুশীলনের সুযোগ করে দেয় রাজস্থান-
রাজস্থানের হাইপারফরমেন্স কোচ আরও বলছেন, ‘সঞ্জু স্যামসনকে নিয়ে আমরা দুবাইতে দুটো ট্রেনিং সেশন করেছিলাম। দঃ আফ্রিকা যাওয়ার আগে আইসিসির অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করে সঞ্জু, কারণ সেখানকার উইকেট একটু বেশি বাউন্সি এখানকার তুলনায়। এক্ষেত্রে রাজস্থান দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ওরা শুধু ক্রিকেটারদের টাকাই দিচ্ছে না, ওদের উন্নতি করতেও পরিকাঠামোগত দিকে টাকা খরচ করছে। ভারত থেকে বোলারদের দুবাই পাঠিয়েছে সঞ্জুর জন্য, আমাকেও পাঠিয়েছে দুবাইতে। ক্রিকেটারদের প্রতি এতটাই দায়বদ্ধ রাজস্থায় রয়্যালস দল ’।