রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পরে যে মন্তব্য করেন, সেজন্য রোষের মুখে পড়লেন সুনীল গাভাসকর। শনিবার অ্যান্টিগায় বড় শট মারতে গিয়ে রোহিত আউট হওয়ার পরে কমেন্ট্রি বক্স থেকে গাভাসকর বলেন, ‘এটাই রোহিত শর্মা। দলের জন্য সবকিছু করতে রাজি থাকে।’ আর সেই মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের দাবি, মুম্বইয়ের ছেলে রোহিত আউট হয়েছেন বলেই গাভাসকর ওরকম মন্তব্য করেছেন। অন্য কেউ আউট হলে তাঁর সমালোচনা করে বলতেন যে যখন ওই ওভারের প্রথম তিনটি বলে ১০ রান উঠে গিয়েছে, তখন চতুর্থ বলে বড় শট মারার কী দরকার ছিল?
এক নেটিজেন বলেন, ‘(এক ওভার দুটি বাউন্ডারির পরে) যদি এই আক্রমণাত্মক শটটা মারতে যেতেন, তাহলে সুনীল গাভাসকর রেগে যেতেন। কিন্তু যেহেতু রোহিত সেই কাজটা করেছেন, তাই তিনি বলছেন যে এটা দলের জন্য। অবিশ্বাস্য রকমের পক্ষপাতিত্ব।'
আসলে শনিবার রোহিত চতুর্থ ওভারে চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান। ওই ওভারের প্রথম বলেই লং-অনের উপর দিয়ে শাকিব আল হাসানকে বাউন্ডারির বাইরে ফেলে দেন। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে চার মারেন। চতুর্থ বলে লেগ সাইডে সরে গিয়ে ছক্কা মারতে যান। কিন্তু বলটা পিচে পড়ে থমকে যায়। ফলে রোহিত যেমন চেয়েছিলেন, সেরকম হয়নি। ব্যাটে লেগে বলটা উপরের দিকে উঠে যায়। এক্সট্রা কভারে দাঁড়িয়ে থাকা জাকের আলি ক্যাচটা নেন। তার ফলে ১১ বলে ২৩ রান করে ফিরতে হয় রোহিতকে।
যে রোহিত ২০২৩ সালের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ থেকেই এরকম আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করেছেন। নিজের ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের পরোয়া না করে দলের স্বার্থে খেলছেন। যে আগ্রাসী মনোভাবের বহুবার প্রশংসা করেছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসেন হুসেনও। কিন্তু শনিবার গাভাসকর যে মন্তব্য করেন, সেটা অনেকেই ভালোভাবে নেননি। কেউ-কেউ অসন্তুষ্ট হয়ে যান।
আর সেই অসন্তোষের মাত্রা বৃদ্ধি পায় বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পরে। বিরাটও আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান। সেইসময় গাভাসকর যে মন্তব্য করেন, তাতেও পক্ষপাতিত্বের ছায়া দেখছেন অনেকেই। বিরাট আউট হওয়ার পরে গাভাসকর বলেন যে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলটা ফস্কে দিয়েছেন। ওই বলটায় বিরাটের ইনসাইড আউট খেলা উচিত ছিল। যে শটটা বিরাট দুর্দান্ত খেলেন।
যদিও তাতে চটে যান বিরাট ফ্যানদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, '(রোহিত বড় শট মারতে গিয়ে আউট হয়ে যাওয়ার সুনীল গাভাসকর বললেন যে এটাই রোহিত শর্মা, ও টিমের জন্য সবকিছু করে)। কিন্তু বিরাট কোহলি ছক্কা এবং চার মারার পরে তাঁর জন্য প্রশংসাসূচক একটাও শব্দ বের হল না গাভাসকরের গলা থেকে। এটাই সুনীল গাভাসকর। এটাই মুম্বই লবি।'