কদিন আগেই ভারতীয় এ ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া এ দলের ম্যাচ চলাকালীন ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ইন্ডিয়া এ দলের তরফ থেকে সরাসির ম্যাচের চতুর্থ দিনে বল পরিবর্তন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এই নিয়েই আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়ান ভারতীয় ক্রিকেটার ইশান কিষান। পরবর্তীতে এই বিতর্ক ধামাচাপা পড়ে গেলেও নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল এক অস্ট্রেলিয়ান দৈনিকের রিপোর্টে।
প্রথম বেসরকারি টেস্ট ম্য়াচে ভারতীয় এ দলকে সাত উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দল। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় এ দলের ব্যাটারদের করুণ অবস্থা ধরা পড়েছিল।কোনো মতে ১০০ রানের গণ্ডি টপকাতে না টপকাতেই অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় এ দল। এরপরই কার্যত চাপে পড়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। সেই পরিস্থিতি থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ হেরেই যায় রুতুরাজ গায়েকওয়াড়ের দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে সাই সুদর্শন এবং দেবদূত পাডিক্কল দুর্দান্ত লড়াই দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানদের বিরুদ্ধে। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ হয়ত ড্র হলেও হতে পারে। কিন্তু সাই সুদর্শন ১০৩ রান এবং দেবদূত পাডিক্কল ৮৮ রানের মাথায় আউট হতেই ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডারে আবারও ত্রাসের সঞ্চার হয়। এবং ব্যাটিং লাইন আপ কার্যত ভেঙে পড়ে।
বল বিকৃতি নিয়ে বিতর্ক-
২২৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনে সহজেই সেই রান তুলে নেয় অজিরা। ওয়েবস্টার এবং নাথান ম্যাকসুইনির অর্ধশতরানে ভর দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে খেলা চলাকালীন বল পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কে জড়ান ইশান কিষান এবং আম্পায়াররা। চতুর্থ দিনে আম্পায়াররা বল বদলাতেই তাঁর প্রতিবাদ করেছিলেন পন্ত। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা বল বিকৃতি করার নাকি চেষ্টা করেছেন, যদিও আম্পায়াররা তার জন্য ভারতকে কোনও পেনাল্টি দেয়নি।
ইশান কিষানের প্রতিবাদ অন্য কারণে-
যদিও সিডনির এক সংবাদপত্র দাবি করা হল, ইশান কিষান যে প্রতিবাদ জানিয়ে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তকে বোকা বোকা বলে দাবি করেছিলেন সেটা বল পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে ছিল না। বরং যে বল চতুর্থ দিনে নেওয়া হয়েছিল, সেই বলের অবস্থা দেখে ইশান এই মন্তব্য় করেছিলেন। অর্থাৎ বল পরিবর্তন নিয়ে তাঁর কোনও প্রতিবাদ ছিল না।
ধামাচাপা দিতে চাইছে অস্ট্রেলিয়া-
এদিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকেও এই নিয়ে বিবৃতি দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছিলেন প্রাক্তন অজি তারকা ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, ভারতীয় দল যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে আসছে তাই তাঁরা দ্রুত বিষয়টিতে ধামাচাপা দিতে চাইছে। তবে আম্পায়ার যদি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে তা নিয়ে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করা উচিত বলেও দাবি করেছিলেন ওয়ার্নার।
অন্য দল হলে জলঘোলা হত-
এদিকে তাঁর সতীর্থ এড কোয়ান দাবি করেছিলেন, যদি এই কাজ ইংল্যান্ড, পাকিস্তান বা অন্য দল করত, তাহলে অস্ট্রেলিয়ানরা মোটেই চুপ করে থাকত না। ভারতীয় দল বলেই নাকি বিষয়টি নিয়ে বেশি জলঘোলা করা হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় বেসরকারি টেস্ট ম্যাচ। সিরিজে এই মূহূর্তে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া দল।