হবার্ট থেকে দুবাই-আবু ধাবি ঘুরে ঢাকা, ৮ দিনে প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনটি আলাদা টি-২০ লিগে মাঠে নামেন টিম ডেভিড। খেলেন ৫টি ম্য়াচ। তবে তাঁর ঘুরে বেড়ানোই সার হয়। কেননা ৫টি ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত অবদান ২৮ বলে মাত্র ২৬ রান।
টিম ডেভিড ২৭ জানুয়ারি হবার্টে বিগ ব্যাশ লিগের ফাইনালে মাঠে নামেন। তিনি সেই ম্যাচে ব্যাট করতে নামার সুযোগই পাননি। যদিও তাঁর দল হবার্ট হ্যারিকেনস বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়ন হয় ডেভিড ওয়ার্নারের সিডনি থান্ডারকে হারিয়ে।
২৯ জানুয়ারি টিম ডেভিড দুবাইয়ে আইএল টি-২০'র ম্যাচে নামেন গাল্ফ জায়ান্টসের হয়ে। সেই ম্যাচে ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। ডেজার্ট ভাইপার্সের কাছে তাঁর দল ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে।
৩১ জানুয়ারি ফের দুবাইয়ে আইএল টি-২০'র ম্যাচে গাল্ফ জায়ান্টসের হয়ে মাঠে নামেন ডেভিড। এমআই এমিরেটসের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ৯ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। এবারও তাঁর দল ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়।
১ ফেব্রুয়ারি আবু ধাবিতে আইএল টি-২০'র ম্যাচে গাল্ফ জায়ান্টসের হয়ে খেলতে নামেন টিম ডেভিড। আবু ধাবি নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি ডেভিডের। যদিও গাল্ফ জায়ান্টস এই ম্যাচে হারিয়ে দেয় নাইট রাইডার্সকে।
৩ ফেব্রুয়ারি টিম ডেভিড মাঠে নামেন বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগে। ঢাকার এই ম্যাচে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রতিপক্ষ ছিল খুলনা টাইগার্স। টিম ডেভিড ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ৭ রান করে আউট হন। রংপুর ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়ে।
সুতরাং, ৮ দিনে দীর্ঘ ১৫৮১৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তিনটি আলাদা টি-২০ লিগে মাঠে নামেন টিম ডেভিড। তবে কোনও ম্যাচেই ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি। সাকুল্যে ২৮ বলে ২৬ রান করার পথে ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ডেভিড।
টিম ডেভিডের টি-২০ কেরিয়ার
টিম ডেভিড এখনও পর্যন্ত ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ২৬৯টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন। ২৪৪টি ইনিংসে ব্যাট করে তিনি ২৯.৬০ গড়ে সংগ্রহ করেছেন ৫১৫২ রান। কোনও সেঞ্চুরি না করলেও টি-২০ ক্রিকেটে মোট ১৭টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ডেভিড। তিনি ১৬০.০০ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেছেন।