ভারতীয় দল প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে বিপর্যস্ত করে হারিয়ে দেয়। ২৯৫ রানে পার্থ টেস্ট জিতে সিরিজ শুরু করে টিম ইন্ডিয়া। সাধারণত অজি সফরে গিয়ে প্রথম টেস্টে একটু গুটিয়ে থাকতেই দেখা যায় এশিয়ান দলগুলিকে। অতীতেও ভারতীয় দল ৩৬ অলআউটের মতো নিদর্শন রেখেছে অজিদের মাটিতে। ফলে প্রথম টেস্টে অপ্রত্যাশিত ফলই করে টিম ইন্ডিয়া।
তবে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দল মোটেই ব্যাটিংটা ভালো করতে পারেনি। টিম ইন্ডিয়ার সাধের ব্যাটিং লাইন আপ শেষ হয়ে গেছিল মাত্র ১৫০ রানের মধ্যেই। তাও নীতীশ রেড্ডি ছিলেন বলেন, সম্মান কিছুটা বেঁচেছিল, নাহলে আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছিল টিম ইন্ডিয়ার ভাগ্যে। অজি বোলাররা নিজেদের কাজটা প্রথম ইনিংসে ঠিকঠাকই করেছিলেন।
তবে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ানরা যখন ব্যাটিং করতে আসেন, তখন জসপ্রীত বুমরাহর ঝড়ের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারেননি। প্রথম ইনিংসে একাই পাঁচ উইকেট নিয়ে অজিদের শিরদাঁড়া কার্যত ভেঙে দেন জাস্সি। এরপর মাত্র ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় হেড, স্মিথদের ইনিংস। কোনও অজি ব্যাটারই তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারায়, সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি ব্যাটারদের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার জোশ হেজেলউড।
আরও পড়ুন- ভারত প্রথম টেস্টে জিতবে! জানতেন মহারাজ! লিড নিতেই করেছিলেন মাইকেল ভনকে টেক্সটও…
এরপরই বেশ কয়েকবার অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড এসে জানিয়েছিলেন দলের মধ্যে তাঁদের কোনও বিভাজনই নেই, ব্যাটার এবং বোলারদের মধ্যেও একটা টেস্টের জন্য কোনওররকম ভুল বোধাবুঝি তৈরি হয়নি। তবে দ্বিতীয় টেস্টে জোশ হেজেলউড হঠাৎ পাওয়া চোটের জন্য বাদ পড়তেই কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর।
যার নামে এই গোটা টেস্ট সিরিজ খেলা হয়, সেই গাভাসকরই জোশ হেজেলউডের হঠাৎ করে চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে বলেছিলেন, বিষয়টি কিছুটা তাঁর কাছে রহস্যজনক এবং অদ্ভুতও। বলাই বাহুল্য, তিনি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটারদের নিয়ে হেজেলউডের করা মন্তব্যকেই তাঁর দ্বিতীয় টেস্টে দল থেকে বাদ পড়ার কারণ হিসেবে দেখছিলেন। তাঁর বদলে খেলার কথা স্কট বোলান্ডের।
যদিও সুনীল গাভাসকরের সেই দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড। দলের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই বলে দাবি করে এই বাঁহাতি ব্যাটার বলছেন, ‘সকলেই নিজেদের মন্তব্য জানানোর জন্য অর্থ পায়। তাই কেউ বলতে পারে হেজেলউডকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, দলের মধ্যে নিজেরাই আমরা একে অপরের দিকে তীর ধনুক নিয়ে আক্রমণ করছি, কিন্তু তাতে কার কি যায় আসে। যেটা সত্যি সেটা সত্যই। ’
আরও পড়ুন - তিনটি আলাদা নেটে বিশেষ অনুশীলন! অ্যাডিলেডে রানে ফিরতে মরিয়া ল্যাবুশেন
উইলো টক পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে ট্রাভিস হেড জানান, ‘আমি সুনীল গাভাসকরের মন্তব্য শুনে কিছুটা অবাক। এটা আমার কাছে কিছুটা হাস্যকর লেগেছে। উনি বিনোদন ব্যবসায় রয়েছে, অনেকে গোটা বিশ্বে যেমন থাকে। ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছে। এই সব মন্তব্য যদি তাঁকে বেশি মজা দেয়, তাহলে সেটা তিনি করতেই পারেন ’।