নিজের পছন্দের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ ট্র্যাভিস হেড। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসর গ্রহণের পর একজন দক্ষ ওপেনারের খোঁজে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ম্যানেজমেন্ট স্টিভ স্মিথ এবং উসমান খোয়াজাকে দিয়ে ওপেন করিয়েছিল, তবে সফল হয়নি সেই জুটি। বারবারই টেস্টে ওপেনার বদলাতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। সম্প্রতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ওপেন করতে দেখা যায় নাথান ম্যাকসুইনিকে। তবে তিনিও নজর কাড়তে ব্যর্থ হন। দুই ইনিংসে তিনি যথাক্রমে ০ এবং ১০ রান করেছিলেন। প্রথম দিকে ঠিক ছিল ওপেনার হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যাট করবেন ট্র্যাভিস হেড। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করে ম্যানেজমেন্ট।
যদিও ট্র্যাভিস হেড নিজে কোনও পছন্দের স্থান বলতে নারাজ। কারণ এইসব বলে তিনি খবরের শিরোনামে আসতে চান না। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এই বিষয়ে বলার মতো কিছু আছে। এগুলি শুধু খবরের শিরোনাম তৈরি করে, এটাই আমার মনে হয়েছে। এরকম ঘটনা আমার সঙ্গে আগেও একবার ঘটেছিল। যখন মার্কাস, হ্যারিসরা ওপেন করত, আমি তখন বলেছিলাম- হ্যাঁ আমি ওপেন করতে চাই। আর সেটাই হেডলাইন তৈরি হয়েছিল।’
হেড বলেছেন, অতীতে তাঁর কথা ঘুরিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। সেই কারণে তিনি আর সেই ভুল করতে নারাজ। দলের জন্য যেটা ভালো হবে সেটাই তিনি করবেন বলে জানিয়েছেন। হেড বলেন, ‘আমি সেই সময় যদি না বলতাম তাহলে আমার সতীর্থদের পাশে দাঁড়াতাম। আর এই মুহূর্তে আমি জানি যে আমি ওপেন করব না তাই মিডিয়ার সামনে স্পষ্ট থাকাই ভালো। আমি চাই দলের জন্য যেটা ভালো সেটাই করা হোক।’
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ওপেন করে থাকেন ট্র্যাভিস হেড। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে কত নম্বরে ব্যাট করবেন সেটা নিয়ে তিনি বিশেষ চিন্তিত থাকেন না। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও দিনই এটা নিয়ে বিশেষ ভাবিনি। সত্যি বলতে আমি এটাকে বিশেষ গুরুত্ব দিই না। আমি দলের জন্য যেকোনও পজিশনে ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে আমি কিছু সময় ধরে ৫ নম্বরে ব্যাট করছি। আমি নিজের খেলাটা খেলছি। আমি কিছু জোর করে করার চেষ্টা করি না। ম্যানেজমেন্টও আমায় এটা বলে না যে - তুমি এই ভাবে খেলো আমরা এই ভাবে খেলতে চাই। আমি আমার সাধারণ খেলাটাই খেলছি। তারা প্রথম থেকেই আমায় বলে এসেছে যে আমি যেই ভাবে খেলাটাকে দেখি সেইভাবেই যেন খেলি।’