সেপ্টেম্বরের শুরুতেই স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে একসময় টানা ৮টি বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান ট্র্যাভিস হেড। তিনি সেই ম্যাচে ব্র্যাড হোয়েলের এক ওভারে ৬টি বাউন্ডারি মারেন। স্কটিশদের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ট্র্যাভিস হেড। সেই ধারা তিনি বজায় রাখলেন ইংল্যান্ড সিরিজেও।
বুধবার সাউদাম্পটনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ফের এক ওভারের ৬টি বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন হেড। ফের টানা ৮টি বলে চার-ছক্কা মারেন অজি তারকা। এবার হেডের তাণ্ডবের শিকার স্যাম কারান।
সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। ম্যাথিউ শর্টকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন ট্র্যাভিস হেড। পাওয়ার প্লে-র একেবারে শেষ বলে ভাঙে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি। ৬ ওভারে ১টি উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে নেয় ৮৬ রান।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে স্যাম কারানের ৬টি বলে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন হেড। সেই ওভারের ৬ বলে ট্র্যাভিস সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৪, ৪, ৬, ৬, ৬ ও ৪ রান। অর্থাৎ, কারানের ওভারে ৩০ রান তোলেন হেড। ষষ্ঠ ওভারে পুনরায় ব্যাট করার সুযোগ হলে সাকিব মাহমুদের পরপর ২টি বলে একটি ছয় ও ১টি চার মারেন তিনি। অর্থাৎ, টানা ৮টি বলে হেড মারেন ৪টি ছয় ও ৪টি চার।
ট্র্যাভিস ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ১৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ২৩ বলে ৫৯ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন হেড। মারেন সাকুল্যে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা।
হেডের এমন তাণ্ডব সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া ১৯.৩ ওভারে ১৭৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ম্য়াথিউ শর্ট ২৬ বলে ৪১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন জোশ ইংলিস। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন ক্যামেরন গ্রিন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ ওভারে ২২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩ ওভারে ২১ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন সাকিব মাহমুদ। ৩.৩ ওভারে ৩১ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন জোফ্রা আর্চার। ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদ।