শুভব্রত মুখার্জি:- ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২২ গজ এবং ২২ গজের বাইরে বেশ বর্ণময় এক চরিত্র। মাঝে মধ্যে তিনি খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তাঁর খেলার বাইরে নানা কাজকর্মের জন্য। বিশেষ করে খেলার মাঠে তাঁর আচরণ মাঝেমাঝেই ভাইরাল হয়েছে। দলের সতীর্থদের বকার সময়ে, ফিল্ডিং সাজানোর সময়ে মাঝে মধ্যে রোহিত শর্মা তাঁর ইউনিক স্টাইলে এমন কিছু বলে ফেলেন যা প্রায় ভাইরাল হয়ে যায়। সম্প্রতি ইউটিউবার তন্ময় ভাটের সঙ্গে এক টক-শোতে বসেছিলেন ঋষভ পন্ত। সেখানেই এই বিষয়টি উঠে আসে। যার উত্তর দিতে ঋষভ জানিয়েছেন রোহিতের কমিউনিকেশন স্টাইল তিনি মাঠে বুঝতে পারলেও মাঠের বাইরে তা মাঝে মধ্যেই তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ভারতীয় ক্রিকেটে ভবিষ্যতের সুপারস্টার কে? অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটাররা কার নাম বললেন?
প্রসঙ্গত চলতি বছরের প্রথম দিকে যখন ইংল্যান্ড, ভারত সফরে এসেছিল। এখানেই রোহিতের একটি কমেন্ট প্রচুর ভাইরাল হয়েছিল। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আগার কোই গার্ডেন মে ঘুমতা হ্যায় তো..…।’ অর্থাৎ কাউকে যেন বাগানে আর না ঘুরতে দেখি। মাঝেমধ্যে ভুলে যাওয়া থেকে শুরু করে খেলার ছলে মাঠে সতীর্থদের সঙ্গে খুনসুটি বাদ যায়না কিছুই। অনেক সময় ভুলে যেতেও দেখা গিয়েছে রোহিত শর্মাকে।
আরও পড়ুন… ভিডিয়ো: ছক্কা মারতে গিয়ে ভেঙে দিলেন চিপকের দেওয়াল! IND vs BAN সিরিজের আগে অন্য মেজাজে বিরাট কোহলি
বিষয়টি নিয়ে সেই টক শো'তে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রোহিত শর্মার মাঠ এবং মাঠের এই আচরণ অর্থাৎ কমিউনিকেশন স্টাইল তিনি আদৌও বুঝতে পারেন কিনা? বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে পন্ত জানান, ‘ভাই দেখুন এটা ডিপেন্ড করে যে আমি বুঝতে পারি কি পারি না। যদি আপনি গ্রাউন্ডের কথা বলেন তাহলে আমি বলব ওঁর কমিউনিকেশন আমি বুঝতে পারি। তবে ফিল্ডের বাইরে আমি বলব আমি ওঁর কমিউনিকেশন যথেষ্ট কম বুঝতে পারি।’
আরও পড়ুন… দিল্লিতে ট্রাক চালকের সঙ্গে মারামারি করেছিলেন গৌতম গম্ভীর- বড় দাবি করলেন আকাশ চোপড়া
এর পাশাপাশি আইপিএলের সময়ে বিরাট কোহলির সঙ্গে একটি অজানা কাহিনির কথা জানালেন তিনি, ‘আমাদের জন্য ওই ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের ওই ম্যাচে ভালো খেলতেই হত। আমি ওই ম্যাচে খেলতে পারিনি। আমি ভাবছিলাম বাইরে থেকে বসে আমি দলকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি। আমি সাজঘরের সিঁড়িতে বসেছিলাম। বসে মাঝে মাঝে সাইটস্ক্রিনের পাশে ঘোরাঘুরি করছিলাম। বিষয়টা বিরাটের ব্যাটিংয়ের সময়ে ওকে ডিসটার্ব করেছিল। উনি ব্যাপারটা নিয়ে মোটেই খুশি হননি।’