আমেরিকার জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার আশায় ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করেন উন্মুক্ত চাঁদ। যদিও যুব বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়কের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি এখনও। একদা নিজের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ হরমীত সিং মার্কিন দলের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেন। তবে উপেক্ষিত থাকেন উন্মুক্ত।
বিশ্বকাপের পরে প্রথম সুযোগেই উপেক্ষার জোরালো জবাব দিলেন উন্মুক্ত চাঁদ। মেজর লিগ ক্রিকেটের নতুন মরশুমের শুরুতেই দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্সকে জেতালেন তিনি। যদিও নাইট রাইডার্সের জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আলি খান।
ক্যাপ্টেন সুনীল নারিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও কৃপণ বোলিং করেন। তবে প্রথম ম্যাচে ব্যাটে-বলে গড়পড়তা পারফর্ম্যান্স উপহার দেন আন্দ্রে রাসেল ও শাকিব আল হাসান। বলার মতো রান করতে পারেননি ডেভিড মিলার।
ডালাসে মেজর লিগ ক্রিকেটের নতুন মরশুমের দ্বিতীয় ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে লস অ্যাঞ্জেলেস নাইট রাইডার্স ও ফ্যাফ ডু'প্লেসির নেতৃত্বাধীন টেক্সাস সুপার কিংস। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নাইট রাইডার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬২ রান সংগ্রহ করে।
লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি উন্মুক্ত চাঁদের
৪৫ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন উন্মুক্ত চাঁদ। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ২৬ রান করেন নীতীশ কুমার। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩ বলে ১৮ রান করেন শাকিব আল হাসান। আন্দ্রে রাসেল ৫ বলে ১০ রান করেন। মারেন ১টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া জেসন রয় ২, সুনীল নারিন ২, ডেভিড মালির ৪, ডেরন ডেভিস ১৩ ও ড্রাই ১২ রানের যোগদান রাখেন।
টেক্সাস সুপার কিংসের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন জিয়া উল হক, অ্যারন হার্ডি ও মার্কাস স্টইনিস। ১টি উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েটজি। উইকেট পাননি নবীন উল হক ও মহম্মদ মহসিন।
আলি খানের ৪ উইকেট
পালটা ব্যাট করতে নেমে টেক্সাস সুপার কিংস ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫০ রানে আটকে যায়। ১২ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে নাইট রাইডার্স। দল হারায় ব্যর্থ হয় ডেভন কনওয়ের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি। তিনি ৩৯ বলে ৫৩ রান করেন। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। ফ্যাফ ডু'প্লেসি ১৪, অ্যারন হার্ডি ১১, জোশুয়া ট্রম্প ১৮, মার্কাস স্টইনিস ২, কেলভিন ২৯, জেরাল্ড কোয়েটজি ৪, মহম্মদ মহসিন ৪ ও নবীন উল হক ৬ রান করেন।
নাইট রাইডার্সের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন আলি খান। ৪ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন স্পেনসার জনসন। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সুনীল নারিন। ৩ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন শাকিব আল হাসান। ৩ ওভারে ২৫ রান খরচ করেও উইকেট পাননি রাসেল। ম্যাচের সেরা হন আলি খান।