নয়ডা সুপার কিংস দলের অধিনায়ক নীতিশ রানা উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টির তৃতীয় ম্যাচে একটি ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। তিনি এদিন ২৬ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংস খেললেন। এদিনের ইনিংসে নীতিশ রানা ৯টি ছক্কা ও একটি চার মারেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক তাঁর দলকে জয়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রানা তাঁর ইনিংসে টানা পাঁচটি ছক্কা মারেন। এদিন নয়ডা সুপার কিংসের ওপেনার ব্য়াটার আলমাস শৌকত ৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। নয়ডা দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরা প্রথম উইকেটে ১০ ওভারে ৮৮ রানের জয়ের ইনিংস খেলেন। মাত্র ২৭ বলে ৪১ রান করেন সামরাথ সিং। এদিন সামরাথ তাঁর ইনিংসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। দলকে জয়ে সহায়তা করেন। নয়ডা দল মা্র ১৭.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। লখনউকে আট উইকেটে হারিয়ে লিগের প্রথম স্থানে উঠে এসেছে নয়ডা সুপার কিংস। এর আগে খেলার সময় লখনউ টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নয়ডার বিরুদ্ধে ১৮৫ রান করে।
অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ৪৫ বলে ৭৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তিনি এদিন নিজের ইনিংসে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন। এছাড়াও হর্ষ ত্যাগী ৪৫ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার ও ছয়টি ছক্কা। দলকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করেন। হর্ষও বড় স্কোর করতে প্রিয়মকে সমর্থন করেন। নয়ডা সুপার কিংসের তারকা বোলার ভুবনেশ্বর কুমার এদিনও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন। কুনাল এবং নমন একটি করে উইকেট নিতে সফল হয়েছেন। নয়ডা থেকে প্রশান্ত বীর এবং নীতিশ রানা তিন ওভার বল করে ৩৮ করে রান দেন।
নীতিশ রানা এদিনের ম্যাচে নিজের ইনিংসে ৯টি আকাশছোঁয়া ছক্কা মেরেছিলেন। যার মধ্যে ছিল টানা পাঁচটি। লখনউ থেকে সর্বোচ্চ রান পেয়েছেন কার্তিকেয় জয়সওয়াল। তিনি তাঁর তিন ওভারে ৪৫ রান দেন। তিন ওভারে ৩৬ রান দিয়ে নয়ডা দলের জয়ে অবদান রাখেন জিশান আনসারি। নীতিশ রানার এই ঝোড়ো ইনিংসের জন্য তিনি ম্যাচের সেরার পুরস্কারও পান। এদিনের জয়ের ফলে উত্তর প্রদেশ টি টোয়েন্টি লিগের শীর্ষে রয়েছেন নয়ডা সুপার কিংস। তিন ম্যাচের শেষে তিনটি ম্যাচ জিতে তাদের পয়েন্ট ৬। তালিকার চার নম্বরে রয়েছে লখনউ । দুটি ম্যাচের মধ্যে তারা একটিতে জিতেছে এবং একটি ম্যাচে হেরেছে। কানপুর সুপারস্টার তালিকার দুই নম্বরে রয়েছে। তাদের সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। তালিকার সকলের শেষে রয়েছে গোরাখপুর। ২ ম্য়াচেও তারা জয়ের খাতা খুলতে পারেনি।