আশঙ্কা ছিলই। শেষমেশ সত্যি হল সেই সম্ভাবনা। ফ্লোরিডায় বৃষ্টি ও ভিজে আউটফিল্ডের জন্য ভেস্তে গেল আমেরিকা বনাম আয়ারল্যান্ড টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচ। ফলে একদিকে যেমন কপাল পুড়ল বাবর আজমদের। অন্যদিকে বিশ্বকাপের সুপার এইট রাউন্ডে উঠে ইতিহাস গড়ল যুগ্ম আয়োজক আমেরিকা।
এ-গ্রুপের এক নম্বর দল হিসেবে সুপার এইটের টিকিট আগেই নিশ্চিত করেছে ভারত। গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার লড়াই ছিল পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে। পাকিস্তানকে সুপার এইটে যেতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারাতে হতো এবং সেই সঙ্গে আমেরিকাকে তাদের শেষ ম্যাচে হারতে হতো আইরিশদের কাছে। এর অন্যথা হলেই বিশ্বকাপ থেকে ছুটি নিশ্চিত ছিল পাকিস্তানের।
যদি আয়ারল্যান্ড বনাম আমেরিকা বা পাকিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ড, এই ২টি ম্যাচের একটিও বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়, তবে ভারতের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠতো আমেরিকা। কেননা পাকিস্তানের ধরাছোঁয়ার বাইরে যেতে আমেরিকার দরকার ছিল ১ পয়েন্ট। শুক্রবারের ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেয় আমেরিকা। ফলে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের যোগ্যতা অর্জন করে মার্কিন দল।
আমেরিকা বনাম আয়ারল্যান্ড ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় এ-গ্রুপের কোন ২টি দল সুপার এইটে যাবে, সেটা নিশ্চিত হয়ে যায়। সুতরাং, আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের শেষ গ্রুপ ম্যাচ গুরুত্ব হারায়। এই ম্যাচ জিতলেও পাকিস্তান ৪ পয়েন্টের বেশি এগোতে পারবে না।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শুক্রবার আমেরিকা ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নেওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় কানাডা ও আয়ারল্যান্ডেরও। ভারতের বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচ জিতলেও কানাডা ৪ পয়েন্টের বেশি এগোতে পারবে না। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড তাদের শেষ ম্যাচ জিতলেও সাকুল্যে ৩ পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারবে না।
শুক্রবার ম্যাচ শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগে ফ্লোরিডায় বৃষ্টি হয়। তবে আউটফিল্ড ভিজে থাকায় যথা সময়ে খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। আম্পায়াররা দফায় দফায় মাঠ পরিদর্শনে নামেন। খেলা শুরুর মতো পরিস্থিতি দেখতে পাননি একবারও। শেষে যখন অন্ততপক্ষে ৫ ওভারের ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল, তখন ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। ফলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষিত হয়। যদিও এটা নিশ্চিত যে, যথা সময়ে খেলা শুরু হলে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যেত।