২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অভিযানের শুরুতেই একেই আমেরিকার কাছে লজ্জাজনক হার, তার উপর আবার হ্যারিস রউফের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ উঠল। সব মিলিয়ে দুর্ভোগের অন্ত নেই বাবর আজমদের।
রউফের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার রাস্টি থেরন, যিনি বর্তমানে আমেরিকা টিমের সদস্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় রউফের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। বৃহস্পতিবার ৪ ওভার বল করে ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। থেরনের দাবি, খেলা চলাকালীন নতুন বলে নখের ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে রউফকে। যাতে বলে রিভার্স সুইং হয়।
আরও পড়ুন: রোহিতের চোট নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন বুমরাহ পত্নী
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাস্টি থেরন সেরকম পরিচিত কোনও নাম নয়। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল এই পেসারের। ১৮টি করে ওয়ানডে এবং টি–টোয়েন্টি খেলা থেরন শেষ বার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন দুই বছর আগে। কিন্তু সেটি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে নয়, আমেরিকার হয়ে। সেই থেরনই বৃহস্পতিবার ডালাসে আমেরিকার চাঞ্চল্যকর জয়ের পর তারকা পাক পেসারের দিকে গুরুতর অভিযোগ এনে আঙুল তুলেছেন।
আরও পড়ুন: গোল্ডেন ডাক করে আউট, তার উপর আবার সমর্থকের উপর চড়াও, বিতর্কে ১২৫ কেজির আজম খান- ভিডিয়ো
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে থেরন লিখেওছেন, ‘আইসিসি, আমরা কি ভান করছি যে, পাকিস্তান যে, সদ্য পরিবর্তিত বলে স্ক্র্যাচ করেনি বলে? ২ ওভার আগে বদল হওয়া বলে রিভার্স সুইং আনার চেষ্টা করা? মার্কের উপরে হ্যারিস রউফকে বুড়ো আঙুলের নখ দিয়ে খুঁটতে দেখা গিয়েছে।’
আমেরিকার টিমের বাকিরা কী বলছেন?
আমেরিকার কাছে সুপার ওভারে হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমও বলেছেন, বল রিভার্স সুইং করায় তাঁরা ইয়র্কার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে থেরন ছাড়া আমেরিকা টিমের আর কেউ এখনও রউফের বিরুদ্ধে বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগ তোলেননি। প্রসঙ্গত, রাস্টি থেরন ২০১১ আইপিএলে ডেকান চার্জাস এবং ২০১৫ আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কি ভেসে যাবে? বৃষ্টির ভ্রুকুটি কিন্তু রয়েইছে
বোলারদের দুষেছেন বাবর
আমেরিকার কাছে হারের পর বাবর আজম বোলারদের দিকে আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, ‘ব্যাট করার সময় প্রথম ৬ ওভারে আমরা বড় রান তুলতে পারিনি। একের পর এক উইকেট যায়। সেখানেই পিছিয়ে পড়ি আমরা। আমাদের জুটি গড়তে হত। বল হাতেও আমরা পাওয়ার প্লে-তে ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের স্পিনারেরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারেনি। ফলে হারতে হল আমাদের। এই হার হজম করা কঠিন। আমেরিকাকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা আমাদের থেকে বেশি ভালো খেলেছে। তিন বিভাগেই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে ওরা। পিচে আর্দ্রতা ছিল। বল কোনওটা জোরে যাচ্ছিল, কোনওটা ধীরে। তবে পেশাদার হিসেবে সব পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয়।’