চলতি মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপে মাত্র ১০ বলে ম্যাচ জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা সামোয়াকে ১৬ রানে অল-আউট করার পরে পালটা ব্যাট করতে নেমে এমন কৃতিত্ব অর্জন করে। ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৪ রানে অল-আউট করার পরে পালটা ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ জেতে ২৬ বলে। এবার মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ভারত বিশ্বকাপের ম্যাচ জিতল মোটে ১৭ বলে। অর্থাৎ, ২০ ওভারের ইনিংস ভারত খতম করে দেয় মাত্র ২.৫ ওভারেই।
মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের এ-গ্রুপে ম্যাচে টস জেতে ভারত। টস জিতে ভারতের ক্যাপ্টেন নিকি প্রসাদ শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় টুর্নামেন্টের আয়োজক দল মালয়েশিয়াকে।
ঘরের মাঠে মালয়েশিয়া শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। শেষমেশ ১৪.৩ ওভারে তারা অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ৩১ রানে। চলতি টুর্নামেন্টে এটি কোনও দলের তৃতীয় নিন্মতম রানে অল-আউট হওয়ার নজির। এর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের লিগ ম্যাচে মালয়েশিয়াকে ২৩ রানে অল-আউট করে। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬ রানে অল-আউট করে সামোয়াকে।
ভারতের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি মালয়েশিয়ার কোনও ব্যাটার। ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৫ রান করেন নূর আলিয়া বিন্তি হাইরুন। ইনিংসের একমাত্র বাউন্ডারি আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। এছাড়া ৫ রান করেন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা নাজাতুল।
সুয়াবিকা ও নূর আইন বিন্তি রোসলান ৩ রান করে সংগ্রহ করেন। ২ রান করেন নুরিমান। খাতা খুলতে পারেননি মালয়েশিয়ার চারজন ব্যাটার। ভারতের হয়ে ৪ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৫ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নেন বৈষ্ণবী শর্মা। তিনি ইনিংসের ১৪তম ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর তিনটি উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন।
এছাড়া আয়ুশি শুক্লা ৩.৩ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ২ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন ভিজে যোশিতা। উইকেট না পেলেও অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করেন শবনম শাকিল ও পারুনিকা সিসোদিয়া।
আরও পড়ুন:- আর্শদীপ থেকে বরুণ, এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বাধিক উইকেট কাদের?
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২.৫ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২ রান সংগ্রহ করে নেয়। অর্থাৎ, ১০৩ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত। সেই সুবাদে বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের টিকিটও নিশ্চিত করে ফেলে ভারতীয় দল।
১২ বলে ২৭ রান করে নট-আউট থাকেন গঙ্গাদি তৃষা। তিনি ৫টি চার মারেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন জি কমলিনী। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন বৈষ্ণবী।