ইডেনে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি ইংল্যান্ডকে। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড প্রথম ওভার থেকেই উইকেট খোয়াতে থাকে। ম্যাচের প্রথম ওভারে আর্শদীপ সিং সাজঘরে ফেরান ফিল সল্টকে। তৃতীয় ওভারে পুনরায় বল করতে এসে আর্শদীপ আউট করেন বেন ডাকেটকে।
শুরুতেই দুই উইকেট হারালেও ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি খুব একটা কমেনি। হ্যারি ব্রককে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটিশ দলনায়ক জোস বাটলার আগ্রাসী ব্যাটিং জারি রাখেন। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান তুলে ফেলে। সপ্তম ওভারে অক্ষরের বলে ২টি ছক্কা-সহ ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ১৫ রান।
সুতরাং, ইংল্যান্ড প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে শক্ত ভিত গড়ছে বলে মনে হতে শুরু করে। তবে ঠিক তখনই ভারতকে লড়াইয়ে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন কেকেআরের হয়ে খেলার সুবাদে ইডেনের বাইশগজকে হাতের তালুর মতো চেনেন বরুণ। তাই কীভাবে মারমুখী ব্রুককে আটকাতে হবে, সেটা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি তাঁর।
ইনিংসের ৭.২ ওভারে বরুণের লেগ-স্পিন বলে শর্ট থার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের মাঝ দিয়ে চার মারেন ব্রুক। তবে ঠিক তার পরের বলেই গুগলিতে ব্রুককে বোকা বানান বরুণ। ৭.৩ ওভারের বরুণের গুগলি পড়তে না পেরে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন হ্যারি ব্রুক। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন হ্যারি।
ব্রুককে গুগলিতে বোল্ড হতে দেখেও শিক্ষা নেননি লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি ক্রিজে এসেই লেগ-সাইডে সরে গিয়ে শট খেলার জন্য জায়গা বানানোর চেষ্টা করেন। ফাঁকা স্টাম্প পেতেই ৭.৫ ওভারে সেই গুগলিতেই লিয়ামের কাম তমাম করেন বরুণ। ২ বল খেলে খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন লিয়াম। ইংল্যান্ড ২ উইকেটে ৬৫ থেকে ৪ উইকেটে ৬৫-তে দাঁড়িয়ে যায়।
উল্লেখ্য, হ্যারি ব্রুককে এবছর আইপিএলের মেগা নিলাম থেকে ৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় দলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। লিয়াম লিভিংস্টোনকে ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় দলে নেয় আরসিবি। দুই ব্রিটিশ তারকা আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলাম থেকে সাকুল্যে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেন। সেই নিরিখে বলতেই হয় যে, তিন বলেই ১৫ কোটির তারকা জুটিকে পর্যুদস্ত করেন কেকেআরের রহস্য স্পিনার।
পরে ইনিংসের ১৬.২ ওভারে বরুণ তুলে নেন ব্রিটিশ দলনায়ক জোস বাটলারের উইকেট। ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৮ রান করে নীতীশ রেড্ডির হাতে ধরা পড়েন বাটলার। বরুণ নিজের ৪ ওভারের বোলিং কোটায় ২৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন।