নতুন আইপিএল মরশুম শুরুর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি শিবিরের আয়োজন করে কেকেআর। গতবারের চ্যাম্পিয়নরা ইডেনে পুরোদস্তুর প্র্যাক্টিস শুরু করেছে, তাও বেশ কয়েকদিন হয়ে গেল। দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার স্কোয়াডের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন টুর্নামেন্ট শুরুর সপ্তাহ খানেক আগেই।
কেকেআর ইতিমধ্যেই একজোড়া আন্তঃস্কোয়াড প্র্যাক্টিস ম্যাচও খেলেছে ইডেনে। তবে সবার মাঝে আলাদা করে অনুপস্থিতি চোখে পড়ছিল দুই সুপারস্টারের। কেকেআরেরে দুই রিটেন করা তারকা বরুণ চক্রবর্তী ও হর্ষিত রানা এতদিন দলের সঙ্গে যোগ দেননি। অবশেষে দুই ভারতীয় তারকা কলকাতায় পা দেওয়ায় কেকেআরের ষোলো কলা পূর্ণ হল বলা যায়।
সোমবার কেকেআরের ক্রিকেটাররা যখন ইডেনে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যস্ত ছিলেন, হর্ষিত রানা ঢুকে পড়েন টিম হোটেলে। সোমবার রাতেই কলকাতায় পা দেন বরুণ চক্রবর্তী। দুই তারকার দলের সঙ্গে যোদ দেওয়ার খবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয় নাইট রাইডার্সের তরফে।
আরও পড়ুন:- মাস্টার্স লিগে সব থেকে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কারা? সেরা পাঁচে রয়েছেন যুবরাজ
আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য বরুণ ও রানা জাতীয় দল থেকে ফিরে কয়েকদিন খেলার মাঠ থেকে দূরে সরে ছিলেন। জাতীয় দলের সীমিত ওভারের স্কোয়াডের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ঘুরে বেড়াতে হয়েছে দুই তারকাকেই। দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পরেই রবীন্দ্র জাদেজা-সহ টিম ইন্ডিয়ার একাধিক তারকাকে সরাসরি নিজেদের আইপিএল দলের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায়। তবে রানা ও বরুণ সেই পথে পা বাড়াননি।
বরুণ চক্রবর্তী দুবাই থেকে জাদেজার সঙ্গে একই বিমানে চেন্নাইয়ে পৌঁছন। রানা ফেরেন দিল্লিতে। অবশেষে নিতান্ত সংক্ষিপ্ত বিরতি কাটিয়ে আইপিএলের আঙিনায় ঢুকে পড়লেন বরুণ ও হর্ষিত। উল্লেখ্য, বরুণ চক্রবর্তীকে এবছর ১২ কোটি টাকায় স্কোয়াডে ধরে রাখে কলকাতা নাইট রাইডার্স। হর্ষিত রানাকে কেকেআর রিটেন করে মাত্র ৪ কোটি টাকায়। হর্ষিত রিটেনশনের আগে থেকেই জাতীয় শিবিরে ছিলেন। তবে ততদিন তিনি টিম ইন্ডিয়ার হয়ে কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। রিটেনশনের পরে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটার হিসেবে হর্ষিতকে ধরে রাখার সুযোগ পেয়ে যায় নাইট রাইডার্স।
হর্ষিত ও বরুণ ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। হর্ষিত লিগের প্রথম ২টি ম্যাচে বল করে সাকুল্যে ৪টি উইকেট দখল করেন। বরুণ পরে হর্ষিতের জায়গায় দলে ঢুকে টুর্নামেন্টের শেষ ৩টি ম্যাচে মাঠে নামেন। তিনি সংগ্রহ করেন ৯টি উইকেট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে প্রায় সব ভারতীয় ক্রিকেটারই নিজেদের আইপিএল দলের সঙ্গে যোগ দেন। বরুণ ও হর্ষিত কেকেআর শিবির থেকে দূরে থাকায় সাময়িক দুশ্চিন্তা ছিলই নাইট সমর্থদের মনে। শেষমেশ কেটে যায় যাবতীয় আশঙ্কা।