বরুণ চক্রবর্তীর দাপুটে বোলিংয়ের সুবাদে রাজস্থানকে নাগালে বেঁধেও বিজয় হাজারে ট্রফির প্রি-কোয়ার্টারে জিততে পারল না তামিলনাড়ু। টানটান ম্যাচে ১৯ রানে পরাজিত হয়ে এবারের মতো জাতীয় ওয়ান ডে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তারা। অভিজিৎ তোমরের লড়াকু শতরানের ভর করে সাই কিশোরদের পরাজিত করে রাজস্থান এবং কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে।
ভদোদরায় টস জিতে রাজস্থানকে শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় তামিলনাড়ু। রাজস্থান একসময় ১ উইকেট ১৮৪ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই ধস নামে তাদের ব্য়াটিং লাইনআপে। রাজস্থান ৪৭.৩ ওভারে ২৬৭ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে ধসে পড়ে তাদের প্রতিরোধ।
দাপুটে শতরান অভিজিৎ তোমরের
অভিজিৎ তোমর ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১০৭ বলে। সাহায্য নেন ১১টি চার ও ৪টি ছক্কার। শেষমেশ ১২৫ বলে ১১১ রান করে আউট হন অভিজিৎ। তিনি সাকুল্যে ১২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। মহীপাল লোমরোর ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ৪৯ বলে ৬০ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন সাকুল্যে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা।
আরও পড়ুন:- ২৩ জানুয়ারি দেখা যাবে! রোহিত-কোহলিদের ডেট-লাইন জানিয়ে দিলেন গাভাসকর, নাহলে…?
৫ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর
তামিলনাড়ুর হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ৯ ওভারে ৫২ রান খরচ করে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১০ ওভারে ৪৯ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন সাই কিশোর। সন্দীপ ওয়ারিয়র ৩৮ রানে ২টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে তামিলনাড়ু। তবে নিয়মিত অন্তরে উইকেটও খোয়াতে থাকে তারা। শেষমেশ ৪৭.১ ওভারে ২৪৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় তামিলনাড়ু। ১৯ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করে রাজস্থান।
ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি নারায়ণ জগদীশানের
নারায়ণ জগদীশান ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৩৩ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তিনি ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আমন শেখাওয়াতের বলে ৬টি চার মারেন। শেষমেশ ৫২ বলে ৬৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন জগদীশান। মারেন সাকুল্যে ১০টি চার। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন বিজয় শঙ্কর। তিনি ৬৯ বলে ৪৯ রান করে আউট হন। মারেন ২টি চার ও ১টি ছক্কা।
এছাড়া বাবা ইন্দ্রজিৎ ৩৭, মহম্মদ আলি ৩৪, সাই কিশোর ১৩ ও বরুণ চক্রবর্তী ১৮ রান করেন। আমন শেখাওয়াত নিজের প্রথম ওভারেই বেধড়ক মার খাওয়ার পরেও ৬০ রানে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন অনিকেত চৌধরী ও অজয় সিং। ১টি উইকেট নেন খলিল আহমেদ। অনবদ্য শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা হন রাজস্থানের অভিজিৎ।