বাবা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ছিলেন মারকাটারি ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়া থেকে পাকিস্তান, সেরার সেরা বোলিং লাইন আপ নিয়ের নিজের দিনে টলাতে পারতেন না সেহওয়াগকে। বরাবরই খুল মুডি ক্রিকেটার হিসেবে নাম রয়েছে বীরুর। যেদিন মুড থাকবে তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে সাউথ আফ্রিকা, পাকিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়া, কোনও বোলারকেই ছাড়বেন না। আর মুড না থাকলে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের বিপক্ষেও ফিরবেন কম রানে।
আরও পড়ুন-BPL-এ খেলতে এসে টাকা মেরে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স! ভরা মাঠে অভিযোগ ইমরান তাহিরের…
সেই বীরুর বড় ছেলে আর্যবীর আগেই ভারতীয় ক্রিকেটে নাম করেছেন। বড়দের ক্রিকেটে নাম না করলেও জুনিয়র ক্রিকেটে বেশ নাম রয়েছে তাঁর। এবার বাবার পথে হেঁটেই ছোটদের ক্রিকেটে দুরন্ত পারফরমেন্স করলেন সেহওয়াগের ছোট ছেলে বেদান্তও। দিল্লির হয়ে শনিবার বিজয় মার্চান্ট ট্রফিতে দুরন্ত বোলিং করলেন তিনি।
আরও পড়ুন-Video -উল্টো হাতে স্কট বোল্যান্ডকে ছয়! নীতীশের রিভার্সে সুইপে তাক লাগল অ্যাডিলেডে…
পঞ্জাবের বিপক্ষে দিল্লির অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ম্যাচে বেদান্ত নিলেন চার উইকেট। পঞ্জাবের ছোটরাও ভালো ব্যাটিং করলেন। প্রথম ইনিংসে পঞ্জাব তোলে ৪৬৯ রান। কিন্তু তাঁদের সামনে ১৪ বছর বয়সী বেদান্ত একাই প্রতিরোধ গড়ে তোলেরা চেষ্টা চালিয়ে গেলেন, যেমনটা ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বাবা সেহওয়াগ করেছিলেন।
আরও পড়ুন-Nz vs Eng- নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ওভারেই ছয়! বিরল নজির জ্যাক ক্রলির…
অফ স্পিনার বেদান্ত পঞ্জাবের ওপেনিং জুটি ভাঙেন, যদিও ততক্ষণে পঞ্জাবের ছোটদের দলের গুরসিমরন সিং এবং অদভিক সিং ১৬৩ রানের জুটি করে ফেলেছেন। সেখানেই প্রথম আদভিককে ফিরিয়ে ধাক্কা দেন বেদান্ত। এরপর ৫৬ রানের মাথায় অরবিন্দ সিংকেও ফেরান বীরুর ছোট ছেলে বেদান্ত। এরপর বেদান্ত তুলে নেন জোড়া উইকেট।
আরও পড়ুন-অ্যাডিলেডে রেকর্ড! ভারতের অসি যুদ্ধ দেখতে মাঠে হাজির ৫০ হাজারের বেশি সমর্থক...
২০০ রানের দিকে এগিয়ে আসা গুরসিমরন সিংকে বেদান্ত আউট করেন, এরপর শাকশেয়ার উইকেটটি তুলে নেন বেদান্ত। অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিজয় মার্চান্ট ট্রফির এই ম্যাচে একাই ৪০ ওভার বোলিং করেন ১৪ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার, দেন ১৪০ রান। করেন ১০টি মেডেন ওভারও। ছিল ১৭৮টি ডট বল। এই পারফরমেনসের সৌজন্যেই দিল্লি অনূর্ধ্ব ১৬ দলও লড়াইয়ে রইল পঞ্জাবের বিরুদ্ধে।
বেদান্তের এই পারফরমেন্স এল দাদা আর্যবীর সিংয়ের কোচবিহার ট্রফিতে ২৯৭ রানের ইনিংসের এক সপ্তাহ পরই। দিল্লির অনূর্ধ্ব ১৯ দলের হয়ে দাদা আর্যবীর ২৯৭ রান করে বাবার ব্যাটিং স্টাইলেরই ছাপ রাখেন। যেখানে ছিল আক্রমণাত্মক শটের পাশাপাশি অনবদ্য টেকনিক এবং ধৈর্য্যও। যেভাবে আর্যবীরের ব্যাটিং এবং বেদান্তের বোলিং নজর কাড়ছে, তাতে সেহওয়াগ ব্রাদার্সরা আর কয়েকবছর পর একসঙ্গে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেই পারেন, যদিও বাবার মতো ডেডিকেশন তাঁরা দেখাতে পারেন।