জাতীয় দলে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর তারকা বেঙ্কটেশ আইয়ার। সই করেন খ্যাতনামা কাউন্টি ক্লাব ল্যাঙ্কাশায়ারে। তবে আইয়ারের কাউন্টি অভিষেক মনে রাখার মতো হল না মোটেও।
প্রথমত, নিজের অভিষেক ম্যাচে বেঙ্কটেশ ব্যাট হাতে যত রান সংগ্রহ করেন, বল হাতে খরচ করেন ঠিক তত রান। উইকেটের দেখাও মেলেনি। ম্যাচে তাঁর দল ল্যাঙ্কাশায়ারকে রীতিমতো ল্যাজেগোবরে হতে হয়। শুধু বেঙ্কটেশ স্বস্তি পেতে পারেন এই ভেবে যে, তিনি একা নন, বরং ম্যাচে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ তাঁর সব সতীর্থ। ২০ রানের গণ্ডিও টপকাতে না পারা বেঙ্কটেশ দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
বুধবার ডার্বি কাউন্টি গ্রাউন্ডে ওয়ান ডে কাপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ল্যাঙ্কাশায়ার ও ডার্বিশায়ার। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ল্যাঙ্কাশায়ার। তবে তারা ১০০ রানের গণ্ডি টপকাতেও ব্যর্থ হয়। ল্যাঙ্কাশায়ার ২০ ওভারেই মাত্র ৯৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
ওপেন করতে নেমে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১৮ রান করেন জর্জ বেল। ২৩ বলের ইনিংসে তিনি ৪টি চার মারেন। বেঙ্কটেশ আইয়ার পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রান করে আউট হন। ১০ বলের ইনিংসে তিনি ৩টি চার মারেন। এছাড়া অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের ছেলে রকি করেন ১৯ বলে ১৩ রান। তিনি ২টি চার মারেন।
বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। শূন্য রানে আউট হন হ্যারি সিং, টম অ্যাসপিনওয়াল ও জ্যাক বল্টারউইক। ক্রিস গ্রিন করেন ৪ রান। ডার্বিশায়ারের প্যাট ব্রাউন ৬ ওভারে ৩৭ রান খরচ করে ৫টি উইকেট তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ডার্বিশায়ার ১৯.৫ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৮১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে ডার্বিশায়ার। একঝলকে স্কোরবোর্ড দেখে এই ম্যাচটিকে টি-২০ ম্যাচ বলে ভুল করাই স্বাভাবিক।
ডার্বির হয়ে ৬৩ বলে ৫২ রান করেন লুইস রিস। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ব্রুক গেস্ট করেন ৩৬ বলে ৩৭ রান। তিনি ৬টি চার মারেন। ল্যাঙ্কাশায়ারের হয়ে ২ ওভার বল করে ১৫ রান খরচ করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার।
ওয়ান ডে কাপের অন্য ম্যাচে এসেক্সের বিরুদ্ধে লেস্টারশায়ারের হয়ে ব্যাট করতে নেমে ৪২ বলে ৩৭ রান করেন অজিঙ্কা রাহানে। তিনি ৪টি চার মারেন। ম্যাচে এসেক্সের ৯ উইকেটে ২৯০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় লেস্টারশায়ার।