ভিডিয়ো: WBBL 2024-এ ঘটল ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য ঘটনা! সুপার ওভারেও জয় পেল না কোনও দল

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মুখোমুখি হয়েছিল সিডনি সিক্সার্স ও পার্থ স্কোর্চার্সের দল। এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল চরমে। দুই দলই নির্ধারিত ওভারে সমান রান করে। জয়ের জন্য ম্যাচ সুপার ওভারে গেলেও সেখানেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। সুপার ওভারে উভয় স্কোরই সমান ছিল, এরপর ম্যাচ টাই হয়ে যায়।

বর্তমানে আইপিএলের আদলে বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক লিগ খেলা হচ্ছে। কিন্তু ভারতীয় খেলোয়াড়রা আইপিএল ছাড়া কোনও বিদেশি লিগে খেলেন না। তবে বিসিসিআই-এর এই নিয়ম মহিলা ক্রিকেটে প্রযোজ্য নয়। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটাররা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় চলতি মহিলা বিগ ব্যাশ লিগে খেলছেন। এই লিগের ৩৪তম ম্যাচে আশ্চর্যজনক কিছু ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) মুখোমুখি হয়েছিল সিডনি সিক্সার্স ও পার্থ স্কোর্চার্সের দল। এই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল চরমে। দুই দলই নির্ধারিত ওভারে সমান রান করে। জয়ের জন্য ম্যাচ সুপার ওভারে গেলেও সেখানেও কোনও ফল পাওয়া যায়নি। সুপার ওভারে উভয় স্কোরই সমান ছিল, এরপর ম্যাচ টাই হয়ে যায়।

হোবার্টে সিডনি সিক্সার্স এবং পার্থ স্কোর্চার্সের মধ্যে খেলা ম্যাচে স্কোর্চার্স টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। চার বল বাকি থাকতে ১২৬ রান করতে পারে দল। স্কোর্চার্সের পক্ষে বেথ মুনি সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এবং ব্রুক হ্যালিডে ৪১ রান করেন। সিডনি সিক্সার্সের পক্ষে অ্যাশলে গার্ডনার সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন এবং কোর্টনি গ্রেস সিপেল ও অ্যামেলিয়া কের নেন দুটি করে উইকেট।

২০-২০ ওভারের পর উভয় দলের স্কোর ১২৬-১২৬ রান ছিল-

পার্থ স্কোর্চার্সের দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিডনি সিক্সার্স দল তারকা অলরাউন্ডার এলিস পেরির ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস সত্ত্বেও ২০ ওভারে ১২৬ রান করে। পার্থ স্কোর্চার্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন আলানা কিং। স্কোর টাই শেষ হওয়ার পর, বিজয়ী নির্ধারণের জন্য সুপার ওভারের আশ্রয় নেওয়া হয়।

নিয়ম কি বলে

উইমেন্স বিগ ব্যাশ লিগের নিয়ম অনুযায়ী, লিগের ম্যাচে স্কোর টাই হওয়ার পর মাত্র একবার সুপার ওভার করা হয়। রেজাল্ট পাওয়া গেলে ঠিক আছে, অন্যথায় স্কোর সমান হলে টাই ধরা হবে। কিন্তু নকআউট ম্যাচে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সুপার ওভার খেলা হয়।

দেখুন সুপার ওভারে কী ঘটেছিল-

সুপার ওভারে যা হয়েছিল

সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে সিডনি সিক্সার্স। সুপার ওভারে অ্যাশলে গার্ডনার ও এলিস পেরিরা ১৫ রান করেন। সব মিলিয়ে সিডনি ১৬ রানের টার্গেট দেয়। এরপর পার্থ স্কোর্চার্সের মিকায়লা হিঙ্কলে তিন বলে পরপর তিনটি চার মেরে সুপার ওভারে টাই করেন। সুপার ওভারে শুরুটা ভালো হয়নি পার্থ স্কোর্চার্সের। ৩ রানে এক উইকেট হারিয়েছিলেন তারা। প্রথম আঘাত পেলে তিন বলে মাত্র ৩ রান করেছিল স্কোর্চার্স। কিন্তু প্রশংসা করতেই হবে হিঙ্কলির যিনি পরের ৩ বলে ১২ রান করে হারানো ম্য়াচে ফিরে আসে।