অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে অভিষেককারী স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে বিরাট কোহলির সংঘর্ষের সমালোচনা করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি। তিনি বলেছেন যে ক্রিকেট মাঠে শারীরিক সংঘর্ষের কোনও জায়গা নেই। এর ফলে কোহলি কনস্টাসের বিতর্কে আগুনে ঘি দেওয়ার কাজ করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি অস্ট্রেলিয়ান অভিষেককারী স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে বিরাট কোহলির সংঘর্ষের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে ক্রিকেট মাঠে শারীরিক সংঘর্ষের কোনও জায়গা নেই। বর্ডার গাভাসকর সিরিজের চতুর্থ টেস্টের উদ্বোধনী দিনে অস্ট্রেলিয়ান ইনিংসের দশম ওভারের পর খেলোয়াড়রা যখন একে অপরকে পাস দিচ্ছিলেন, তখন কোহলি ও কনস্টাসের কাঁধে ধাক্কা লাগে। উভয় খেলোয়াড়ই ঘুরে দাঁড়িয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে কিছু বলেন। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ব্যাটসম্যান উসমান খোয়াজা এসে দুজনকে আলাদা করে দেন। মাঠের আম্পায়াররাও দুজনের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন… যশস্বীর রান আউটটাই কি ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট! কোহলিকে নিয়ে কী বললেন স্টিভ স্মিথ
কোহলির কর্মকাণ্ডে আগুন লেগেছে ক্রিকেট বিশ্ব
এই ঘটনার পর, ভারতীয় ক্রিকেটারকে তার ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছিল এবং তার অ্যাকাউন্টে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছিল। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি ‘সেন রেডিও’ কে বলেছেন, ‘দেখতে খুব একটা ভালো লাগেনি, মানে আপনি জানেন যে ক্রিকেট মাঠে শারীরিক সংঘর্ষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তাই এটা খুব একটা ভালো ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বিরাট এটার জন্য দায়ি।’
দেখুন ভিডিয়ো-
আরও পড়ুন… ZIM vs AFG 1st Test: ৩৮ বছরের তারকা ক্রিকেটারের শতরানের ইনিংস! প্রথম দিনের শেষে চাপে আফগানিস্তান
স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে কাঁধে ধাক্কা লেগেছে
প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর স্যাম কনস্টাস বলেন, বিরাট কোহলি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে ধাক্কা মেরেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ভুলবশত বিরাট কোহলি আমার সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। এটা ক্রিকেট এবং এটা মানসিক চাপে ঘটে।’ দ্বিতীয় অধিবেশন চলাকালীন চ্যানেল 7কে স্যাম কনস্টাস বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা দুজনেই আবেগে কাবু হয়েছি। আমি মোটেও বুঝতে পারিনি। আমি আমার গ্লাভস পরছিলাম যখন হঠাৎ তার কাঁধ আমার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ক্রিকেটে এ সব ঘটে।’
আরও পড়ুন… অ্যান্ডি পাইক্রফটের অনন্য সেঞ্চুরি! ১০০টি টেস্ট ম্যাচে রেফারির দায়িত্ব পালন করে নজির গড়লেন
এই ঝামেলার আগুনে বিতর্কের ঘি দিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও
আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী, ক্রিকেটে যে কোনও ধরনের অনুপযুক্ত শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ। ইচ্ছাকৃতভাবে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে খেলোয়াড়রা যদি অন্য কোনও খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের সঙ্গে সংঘর্ষ বা কাঁধে লেগে যায়, তাহলে তা এই নিয়মের লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে। হকলি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা (এই ধরনের ক্ষেত্রে শাস্তি) অফিসারদের জন্য। আমি এখানে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল পেয়েছি। এখানে মূল বিষয় হল এই ঘটনার দায়ভার নিয়েছেন বিরাট। তরুণ অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘এটা ম্যাচ রেফারির জন্য, খুব স্পষ্ট নিয়ম আছে এবং এটা কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া। আমি মনে করি এই সব একটি স্বাভাবিক পদ্ধতিতে করা হয়েছে।’