ক্রিকেটে ফিল্ডিং করার সময়, খেলোয়াড়দের অনেকবার তাদের পা দিয়ে বল বাঁচাতে দেখা গিয়েছে। বাউন্ডারি বাঁচানোর সময়ে হাতের বদলে ক্রিকেটাররা অনেক সময়ে তাদের পা দিয়ে নিজেদের সাধ্য মত চেষ্টা করে থাকেন। এই রকম ভিডিয়ো বা এমন মুহূর্তের সাক্ষী অনেকেই ছিলেন। নানা সময়ে বারবার এমন ছবি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আপনি কি কখনও কোনও খেলোয়াড়কে তার পায়ের সাহায্যে ক্যাচ নিতে দেখেছেন?
আরও পড়ুন… IND vs SL: ২৭ বছর পরে থামল ভারতের লঙ্কা জয়ের অশ্বমেধের ঘোড়া! ১৯৯৭-র পরে হারল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ
শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও এটাই হয়েছে। আসলে, ECS বুলগেরিয়া 2024-এ বুলগেরিয়ার VTU-MP Pleven এবং তুরস্কের Afyonkarahisar SHS দলের মধ্যে একটি T10 ম্যাচ খেলা হচ্ছিল। এই ম্যাচে এমন ফিল্ডিং দেখা গিয়েছে। আফিয়নকারহিসার এসএইচএসের কুরসাদ ডালিয়ান একটি ক্যাচ নেন যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আসলে এই ক্যাচটি নেওয়ার সময়ে সে তার পা ব্যবহার করেছিল। অনেকটা ফুটবলকে মাটি থেকে উপরে তোলার মতো করেই মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে ক্রিকেট বলকে পা দিয়ে হাতে তুলে নেন কুরসাদ ডালিয়ান। এরপরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
ফিল্ডিং করা সময়ে পরিস্থিতি এমন ছিল যে কুরসাদ নিজেও বুঝতে পারছিলেন না তিনি ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন কি না। আফিয়ঙ্কারহিসার এসএইচএস ম্যাচ জিতেছে ৬৪ রানে। ভিটিইউ-এমপি প্লেভেন দল ১০ ওভারে মাত্র চল্লিশ রান করতে পারে। প্রথমে ব্যাট করে আফিয়নকারহিসার এসএইচএস ১০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১০৪ রান করে এবং ১০৫ রানের টার্গেট দেয়।
জবাবে, ভিটিইউ-এমপি প্লেভেন ১৩ রানে তিনটি উইকেট হারায় এবং ১৪ রানে চতুর্থ ধাক্কা পায়। আনন্দু কৃষ্ণ চার বলে এক রান করে শাকিল ফারুকীর বলে কুরসাদের হাতে ধরা পড়েন। কুরসাদ বলটির কাছে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে পড়ার আগে পা দিয়ে বলটি বাউন্স করান এবং তারপর ক্যাচটি ধরে নেন। ক্যাচের জন্য আবেদন করার সময় কুরসাদের মুখে সামান্য আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছিল, যেন তিনি নিজেই বুঝতে পারছিলেন না উইকেট পড়েছে কি না। এই উইকেটকে অনেকেই ‘লেগ বিফোর ক্যাচ’ বলছেন।
আরও পড়ুন… Indian results from day 8: আশা জাগিয়েও হতাশ করলেন লক্ষ্য, শ্যুটাররা, ব্যর্থ লভলিনা, মান রাখল হকি টিম
কুরসাদ তার পা দিয়ে বলটি হাওয়ায় ভাসিয়ে নেন এবং তারপর এক হাতে বলটি ধরে ফেলেন। কুরসাদ তখন অনিচ্ছায় ধরার আবেদন জানায়। পরে কৃষ্ণাকে আউট করা হয় এবং ভিটিইউ-এমপি প্লেভেন আরেকটি উইকেট হারায়। ভিটিইউ-এমপি প্লেভেন আফিয়নকারহিসার এসএইচএসের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে আট উইকেটে মাত্র চল্লিশ রান করেন। কোনও খেলোয়াড়ই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি এবং ১০ ওভারে মাত্র দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছিল।