এবারের বিজয় হাজারে ট্রফিতে আগাগোড়া দাপুটে পারফর্ম্যান্স উপহার দেয় বিদর্ভ। ক্যাপ্টেন করুণ নায়ার ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন দলকে। তবে শেষ হার্ডলে আটকে গেল বিদর্ভ। করুণ নায়ার বড় রানের ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হওয়ায় কর্ণাটকের কাছে ফাইনালে হারতে হল তাদের। দল হারায় জলে যায় ধ্রুব শোরের লড়াকু শতরান।
অন্যদিকে ফাইনালে কর্ণাটকের জয়েরক নায়ক হয়ে দেখা দেন রবিচন্দ্রন স্মরণ। সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন দেবদূত পাডিক্কাল।
ভদোদরায় বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে টস জেতে বিদর্ভ। তারা শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় কর্ণাটককে। মায়াঙ্কের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪৮ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে।
দাপুটে শতরান রবিচন্দ্রনের
চার নম্বরে ব্যাট করতে নামে দাপুটে শতরান করেন রবিচন্দ্রন স্মরণ। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। রবিচন্দ্রন শতরানের গণ্ডি টপকান মোটে ৮৯ বলে। সাহায্য নেন ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার। শেষমেশ ৯২ বলে দলের হয়ে সব থেকে বেশি ১০১ রান করে আউট হন স্মরণ।
রবিচন্দ্রনের শতরান ছাড়া দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন কৃষ্ণন শ্রীজিৎ ও অভিনব মনোহর। শ্রীজিৎ ৭৪ বলে ৭৮ রান করেন। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ৪২ বলে ৭৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিনব। তিনি ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৮ বলে ৩২ রান করেন। তিনি ৫টি চার মারেন। দেবদূত পাডিক্কাল ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।
বিদর্ভের হয়ে ৯ ওভারে ৬৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন দর্শন নালকান্ডে। ১০ ওভারে ৭০ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন নচিকেত ভুতে। ১০ ওভারে ৮০ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন যশ ঠাকুর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ ৪৮.২ ওভারে ৩১২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে ট্রফির দখল নেয় কর্ণাটক। এবারের মতো রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বিদর্ভকে।
ট্র্যাজিক হিরো ধ্রুব শোরে
ওপেন করতে নেমে ধ্রুব শোরে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ১০০ বলে। সাহায্য নেন ৮টি চার ও ২টি ছক্কার। শেষ পর্যন্ত ধ্রুব ১১১ বলে ১১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
ক্যাপ্টেন করুণ নায়ার ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩১ বলে ২৭ রান করেন। ৩০ বলে ৬৩ রান করেন হর্ষ দুবে। তিনি ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৩৪ রান করেন জিতেশ শর্মা।
কর্ণাটকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন বাসুকি কৌশিক, প্রসিধ কৃষ্ণা ও অভিলাস শেট্টি। ১টি উইকেট নেন হার্দিক রাজ। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন স্মরণ। সাকুল্যে ৭৭৯ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা হন করুণ নায়ার।