ভারতীয় ক্রিকেট দল টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও এখনও তাঁরা ভুলতে পারেনি ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের স্মৃতি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারের স্মৃতি এখনও টাটকা বিরাট-রোহিতদের মনে। প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ, এখনও গতবছরের নভেম্বরে ফাইনাল হারের কষ্ট তাড়া করে বেড়াচ্ছে সকলের মধ্যে। হবে নাই বা কেন, দল ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে টি২০ বিশ্বকাপ জিতলেও ওডিআই বিশ্বকাপ ঘরের মাঠে জিততে পারলে তাঁর আনন্দ হত দ্বিগুন। কারণ ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের নিরিখে অস্ট্রেলিয়াকে পিছু নেওয়া শুরু করে দিত টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্যাট কামিন্সের দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ায় সেই সুযোগ পায়নি ভারত। এরই মধ্যে প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ দাবি করেছিলেন আহমেদাবাদের পিচই ছিল ভিলেন।
মহম্মদ কাইফ এক পডকাস্টে গিয়ে সরাসরি আহমেদাবাদের উইকেটকেই ভারতীয় দলের হারের জন্য কাঠগোড়ায় তুলেছিল। একইসঙ্গে তাঁর কথায় উঠে এসেছিল পিচকে কাজে লাগাতে গিয়েই উল্টে তা বুমেরাং হয়েছে রোহিতদের কাছে। এরই মধ্যে মহম্মদ কাইফের বক্তব্যের সঙ্গে নিজের মতানৈক্যের কথা জানালেন টি২০ বিশ্বকাপ জিতে আসা ভারতের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। তিনি আবার কোনওভাবেই মনে করেননা, পিচই একমাত্র দায়ি ছিল ম্যাচ হারের জন্য। কোথাও গিয়ে ভাগ্যকেও দায়ি, মনে করছেন রাঠোর।
আরও পড়ুন-‘বিরাট সবই জিতেছে, শুধুই একটা জিনিস বাকি’, পাকিস্তানে কোহলিকে খেলতে দেখতে চান ইউনিস
মহম্মদ কাইফ বলেছিলেন, ‘ আমি ওখানে তিনদিন ধরে ছিলাম। প্রত্যেক দিনই দেখতাম রোহিত শর্মা এবং দ্রাবিড় পিচের সামনে গিয়ে ঘন্টাখানেক সময় কাটাতো। তিনদিন ধরে পিচের রং বদলাতে দেখেছি। ভারত চেয়েছিল যাতে অজি বোলিং লাইন আপ স্লো ট্র্যাক পায়। পিচে ঘাসও ছিল না, জলও তেমন দেওয়া হয়নি। স্টার্ক-কামিনসদের আকটাতে স্লো ট্র্যাক তৈরি করাটাই আমাদের সব থেকে বড় ভুল ছিল। মানুষ বিশ্বাস করতে না চাইলেও এটাই সত্যি। অনেকে বলে কিউরেটর নিজেদের মতো কাজ করে, কেউ প্রভাবিত করে না, কিন্তু সেটা একদমই ভুল কথা ’।
আরও পড়ুন-আরও পড়ুন-‘বোলারদের সব সময়ই সাহায্য করে, তবে একটা সিরিজ দিয়ে’…সূর্যকে নিয়ে মন্তব্য অক্ষরের
কাইফের এই মন্তব্য নিয়েই এবার নিজের মতানৈক্যের কথা জানালেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর। তাঁর কথায়, ‘আমি অনেক শুনেছি যে ওখানে পিচ আলাদা ছিল, কিন্তু আমি এই বিষয় একদমই একমত নই। এরকম উইকেটে আমরা আগেও ম্যাচ খেলেছি। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান আর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও আমরা স্লো পিচে খেলেছি, কিন্তু আহমেদাবাদের উইকেট পরে একটু সহজ হয়ে গেছিল ব্যাটারদের ক্ষেত্রে। একটু ভাগ্যের দরকার লাগে, অস্ট্রেলিয়া দলের সেদিন কপাল ছিল ’।