ক্রিকেটে ১০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি অসম্ভব নয়, তবে অভাবনীয় সন্দেহ নেই। এমনই অভাবনীয় কাণ্ড ঘটল হংকং ইন্টারন্যাশনাল সিক্সেস টুর্নামেন্টে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, একজন নন, বরং একই ম্যাচে একই দলের দুই ব্যাটার ১০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৬ ওভারের ধুন্ধুমার ম্যাচে মোট ৩২টি ছক্কা দেখতে পাওয়াও অবিশ্বাস্য বিষয় সন্দেহ নেই।
শনিবার হংকং ইন্টারন্যাশনাল সিক্সেসে সম্মুখসমরে নামে ইংল্যান্ড ও ওমান। অপ্রত্যাশিতভাবে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ওমান। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওমান। তারা নির্ধারিত ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৫৯ রানের বিরাট ইনিংস গড়ে তোলে। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ২৬.৫০ রান করে সংগ্রহ করে ওমান।
১০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি দুই ব্যাটারের
১০ বলে ৫১ রান করে মাঠ ছাড়েন ওপেনার বিনায়ক শুক্লা। তিনি ২টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাসনাইন শাহও ১০ বলে ৫১ রান করে অবসৃত হন। তিনিও ২টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ১৬ বলে ৪৪ রান করেন আসিফ খান। তিনি ২টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ১ বলে ৬ রান করেন ক্যাপ্টেন জিতেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯২ রানে আটকে যায়। ১৬ বলে ৫৭ রান করে নট-আউট থাকেন এড বার্নার্ড। তিনি ৯টি ছক্কা মারেন। ৭ বলে ১৫ রান করেন অ্যালেক্স ডেভিস। তিনি ২টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন রবি বোপারা।
ওমানের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন হাসনাইন শাহ, জিকরিয়া ইসলাম, জিতেন রামনন্দী ও আসিফ খান। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন বিনায়ক শুক্লা।
ম্যাচে মোট ৩২টি ছক্কা মারেন ব্যাটাররা
ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৩২টি ছক্কা দেখা যায়। ওমানের ব্যাটাররা সাকুল্যে ২০টি ছক্কা হাঁকান। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা মারেন মোট ১২টি ছয়। এছাড়া দুই ইনিংস মিলিয়ে চার দেখা যায় মোট ৭টি।
দু'দলের কারা ক'টি করে ছয় মারেন
১. আসিফ খান (ওমান)- ৫টি।
২. বিনায়ক শুক্লা (ওমান)- ৭টি।
৩. হাসনাইন শাহ (ওমান)- ৭টি।
৪. জিতেন রামনন্দী (ওমান)- ১টি।
৫. জর্ডন থম্পসন (ইংল্যান্ড)- ১টি।
৬. অ্যালেক্স ডেভিস (ইংল্যান্ড)- ২টি।
৭. এড বার্নার্ড (ইংল্যান্ড)- ৯টি।