সম্প্রতি কোচ রমাকান্ত আচারেকরের স্মৃতিসৌধ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি। ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। একটা সময় এই দুই বন্ধু একসঙ্গেই ক্রিকেট যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে খেলার দুনিয়া থেকে হারিয়ে যান কাম্বলি। অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখে দৃশ্যত দুর্বল এবং অসুস্থ মনে হচ্ছিল। সেখানে তিনি যেভাবে সচিনের হাত চেপে ধরেছিলেন তা উদ্বেগ জাগায় সমর্থক সহ সচিনের মনেও।
সচিন এবং কাম্বলির ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেখানে দেখা যাচ্ছে ছেলেবেলার বন্ধুকে কাছে পেয়েই হাত চেপে ধরেন কাম্বলি। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু’জনের মধ্যে। তবে কাম্বলি কোনওভাবেই ছাড়তে চাইছিলেন না সচিনকে। তেন্ডুলকর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কাম্বলি আরও শক্ত করে সচিনের হাত আঁকড়ে ধরেন। এরপরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে অগাস্ট মাসে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। যেখানে দেখা গিয়েছিল ঠিক ভাবে হাঁটতে পারছিলেন না কাম্বলি।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে কাম্বলির ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন প্রথম-শ্রেণীর আম্পায়ার মার্কাস কুটো জানিয়েছেন,‘তার একাধিক গুরুতর শারীরিক সমস্যা রয়েছে’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘তার রিহ্যাবে যাওয়ার কোনও মানে নেই - কাম্বলি ইতিমধ্যে ১৪ বার রিহ্যাবে গিয়েছে! ৩ বার আমরা তাকে ভাসাইতে একটি রিহ্যাব সেন্টারে নিয়ে যাই।’ অগস্টের ভাইরাল ভিডিয়ো দেখে কুটো এবং তাঁর ভাই রিকি, কাম্বলির বান্দ্রার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁরা প্রাক্তন ক্রিকেটারের স্বাস্থ্য এবং আসক্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
কাম্বলির মদ্যপানের আসক্তির জন্য অনেক ক্রিকেট সতীর্থই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৯৮৩-এর বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। তবে তিনি সাহায্য করার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ শর্ত দিয়েছিলেন: কাম্বলিকে অবশ্যই নিজেকে এসব থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। ভারতের প্রাক্তন পেসার বলবিন্দর সিং সাঁধু বলেন, ‘কপিল দেব বলেছিলেন কাম্বলি যদি রিহ্যাবে যেতে চায় তাহলে তিনি আর্থিক ভাবে সাহায্য করবেন। কিন্তু তিনি পরিষ্কার বলেছিলেন যে এর জন্য কাম্বলিকে উদ্যোগী হতে হবে। যদি সে সদর্থক ভূমিকা নেয় তবে যত টাকাই খরচ হোক তা তিনি দেবেন।’
১৯৮৩-র বিশ্বকাপের নায়করা এর আগে প্রাক্তন ওপেনার এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াড়কে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় সমর্থন করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন, ১৯৮৩ স্কোয়াডের মধ্যে যে বন্ধুত্ব বজায় রয়েছে তা প্রদর্শন করেছিলেন। এখন তাঁরা আশা করছেন কাম্বলি নিজের জীবন এবং স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।