দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। গতবছরের শেষের দিকে তাঁর শরীর এতটা খারাপ হয়ে পরে যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। যদিও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন বেশ কিছুদিন। কয়েদিন আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পঞ্চাশতম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা লগ্নে দেখা যায় কাম্বলিকে। এবার অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নেও হাজির হয়েছিলেন তিনি। রবিবার স্বপরিবারে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন কাম্বলি। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান ক্রিকেটাররা। উপস্থিত ছিলেন রোহিত শর্মা-রবি শাস্ত্রীর মতো তারকা। এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
তবে এখনও যে পুরো সুস্থ নয় বিনোদ কাম্বলি সেটা আরও একবার বোঝা গেল। হাঁটতে বেশ সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। নিজের স্ত্রী আন্দ্রেয়ার হাত ধরে চলতে হচ্ছিল তাঁকে। সেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই। কয়েদিন আগে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার রেশ যে তাঁর শরীরে এখনও রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছিল। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে বেশ উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে। কাম্বলির অবস্থা গুরুতর হয়ে ওঠায় তাঁকে থানের আকৃতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হাসপাতালের চিফ ইনটেনসিভিস্ট, ডাঃ বিবেক দ্বিবেদী, কাম্বলির স্বাস্থ্য সম্পর্কে একটি আপডেট দিয়েছিলেন। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল তাঁর অনুরাগীদের মনে।
ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন যে মস্তিষ্কে পুরনো ক্লট ছিল কাম্বলির। শুধু তাই নয়, মূত্রনালিতে সংক্রমণ ছিল তাঁর। অবস্থা এতটা গুরুতর ছিল যে তাঁকে ICU-তে রাখা হয়েছিল। জানা যায় যে মদ্যপানের আসক্তি এবং উশৃঙ্খল জীবনশৈলীর কারণে তাঁর এই অবস্থা হয়েছে। কাম্বলির মদ্যপানের আসক্তির জন্য অনেক ক্রিকেট সতীর্থই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। কিন্তু সাহায্যের হাত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৯৮৩-এর বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেব সহ ক্রিকেটাররা।
উল্লেখ্য, বিনোদ কাম্বলি ১৯৯৩-২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে ১৭টি টেস্ট এবং ১০৪টি ওয়ানডে খেলেছিলেন। সচিন তেন্ডুলকরের ছোটবেলার বন্ধু ছিলেন তিনি। কোচ রমাকান্ত আচারেকরের কাছে একই সঙ্গে ক্রিকেট শিখতেন তাঁরা। কিছুদিন আগে এই প্রখ্যাত কোচের স্মৃতিসৌধ উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি। ওই একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সচিন তেন্ডুলকরও। সেই অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখে দৃশ্যত দুর্বল এবং অসুস্থ মনে হচ্ছিল। সেখানে তিনি যেভাবে সচিনের হাত চেপে ধরেছিলেন তা উদ্বেগ জাগিয়েছিল সমর্থক সহ সচিনের মনেও।