আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সব থেকে সহজ প্রতিপক্ষ সম্ভবত মঙ্গোলিয়া। কেননা চলতি বছরে একের পর এক ম্যাচে নিতান্ত সস্তায় অল-আউট হয়ে চলেছে তারা। প্রতিপক্ষ দল ম্যাচ জিতে যাচ্ছে কয়েক ওভারেই। ২০ ওভারের ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছে পাওয়ার প্লে-র আগেই।
ক'দিন আগেই আইসিসি মেনস টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ এশিয়া কোয়ালিফায়ার-এ টুর্নামেন্টে সিঙ্গাপুরের কাছে মাত্র ১০ রানে অল-আউট হয় মঙ্গোলিয়া। সিঙ্গাপুর পালটা ব্যাট করতে নেমে সেই ম্যাচ জিতে নেয় মাত্র ৫ বলে। এবার মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া ম্যাচ জিতল মাত্র ১৩ বলে।
সোমবার আইসিসি মেনস টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ এশিয়া কোয়ালিফায়ার-এ টুর্নামেন্টের ২০তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে মঙ্গোলিয়া ও মায়লেশিয়া। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মঙ্গোলিয়া। তারা ১৬.১ ওভারে মাত্র ৩১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সব থেকে বেশি ১৩ রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে।
ইনিংসের একমাত্র বাউন্ডারিটি মারেন ১১ নম্বর ব্যাটার এঙ্খবাত বাতখুয়াগ। তিনি ৫ বলে ৪ রান করেন। ২৬ বলে ৮ রান করেন ওপেনার মোহন বিবেকানন্দন। ৮ বলে ৩ রান করেন অড লাটবায়ার। ৯ বলে ২ রান করেন গানবোল্ড। খাতা খুলতে পারেননি ৬ জন ব্যাটার।
মালয়েশিয়ার হয়ে ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন বীরনদীপ সিং। এটি তাঁর আন্তর্জাতিক টি-২০ কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন রিজওয়ান হায়দার, পবনদীপ সিং, বিজয় উন্নি, মহম্মদ আমির ও সৈয়দ আজিজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়া ২.১ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১০৭ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতে মালয়েশিয়া। ১১ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন সৈয়দ আজিজ। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩ বলে ৩ রান করে নট-আউট থাকেন জুবাইদি। ম্যাচের সেরা হন বীরনদীপ।
উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টে মোট ৬টি ম্যাচে মাঠে নামে মঙ্গোলিয়া। তাদের সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস ৬১ রানের। ২টি ম্যাচে কুড়ি রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হয় মঙ্গোলিয়া।
টুর্নামেন্টের ৬ ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার দলগত ইনিংস
১. বনাম কুয়েত- ৫০ রানে অল-আউট।
২. বনাম হংকং- ১৭ রানে অল-আউট।
৩. বনাম মায়ানমার- ৯ উইকেটে ৬১ রান।
৪. বনাম সিঙ্গাপুর- ১০ রানে অল-আউট।
৫. বনাম মলদ্বীপ- ৬১ রানে অল-আউট।
৬. বনাম মালয়েশিয়া- ৩১ রানে অল-আউট।