শুভব্রত মুখার্জি: চলতি এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ভারত বনাম পাকিস্তানের লড়াই গড়ায় রিজার্ভ ডে'তে। আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস মতোই রবিবার ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটে। বৃষ্টির ফলে আউটফিল্ড ভিজে থাকাতে রবিবার আর খেলা চালু করা যায়নি। তবে রবিবারেই ভারতের হয়ে ইনিংসের শক্ত ভিত গড়ে দিয়ে যান দুই ওপেনার শুভমন গিল এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে ১২১ রান করেন। এরপরেই বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল দুজনে মিলে অপরাজিত দ্বিশতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়েই বিশাল বড় রানের স্কোর করতে সমর্থ হয় ভারত। পাশাপাশি এশিয়া কাপের ইতিহাসে যে কোনও উইকেটে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ারও নজির গড়েন বিরাট এবং রাহুল।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
২০২৩ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে কেএল রাহুল এবং বিরাট কোহলি তৃতীয় উইকেটে অপরাজিত ২৩৩ রানের জুটি গড়ে নয়া নজির স্থাপন করেন। তারা ভেঙে দেন নয় বছর আগেকার একটি নজিরকে। ২০১২ সালে ভারতের বিরুদ্ধেই মহম্মদ হাফিজ এবং নাসির জামশেদ মিলে জুটিতে করেছিলেন ২২৪ রানের নজির। সেই নজির এদিন ভেঙে দিলেন বিরাট এবং রাহুল।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে শোয়েব মালিক এবং ইউনিস খান জুটি।২০০৪ সালে হংকংয়ের বিরুদ্ধে মালিক এবং ইউনিস খান করেন ২২৩ রান। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাবর আজম এবং ইফতিকার আহমেদ। ২০২৩ সালেই এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে ২১৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন তাঁরা। তালিকায় পঞ্চম স্থানে ফের জায়গা করে নিয়েছেন বিরাট কোহলি। ২০১৪ সালে অজিঙ্কা রাহানেকে সঙ্গী করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২১৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন তাঁরা।
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের দুই ওপেনার দারুন শুরু করেন। শুভমন গিল ৫২ বলে ৫৮ রান করেন। রোহিত শর্মা ৪৯ বলে করেন ৫৬ রান। পরপর দুই ওভারে রোহিত এবং গিলের উইকেট হারায় ভারত। রোহিতকে আউট করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। গিলকে সাজঘরে ফেরান শাদাব খান। এরপর ভারতের আর একটি উইকেট ও ফেলতে পারেনি পাক বোলাররা। রবিবার অসমাপ্ত ম্যাচ ফের শুরু হয় সোমবারে। দুরন্ত ছন্দে ছিলেন বিরাট এবং কেএল রাহুল দুই ব্যাটার। ৮৪ বলে নিজের শতরান পূরণ করেন বিরাট কোহলি। ৯৪ বলে ১২২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মারেন ৯টি চার এবং তিনটি ছয়। অন্যদিকে চোট সারিয়ে ফিরেই ১০৬ বলে ১১১ রানের অপরাজিত দুরন্ত ইনিংস উপহার দেন কেএল রাহুল। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১২ টি চার এবং ২টি ছয়ে।