আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলি বর্তমানে নক্ষত্র। তাঁর ব্যাটিং প্রতিভার কথা কারও অজানা নয়। একাধিক রেকর্ড রয়েছে তারকা ব্যাটারের ঝুলিতে। অধিনায়ক হিসেবেও তাঁর সাহাল্য নেহাৎ কম নয়। তবে যখনই তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে কথা হয়, তখনই আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার জন্য তাঁর দিকে আঙুল ওঠে।
যাইহোক, অধিনায়ক হিসেবেই হোক বা ব্যাটার হিসেবে, তিনি দলকে একাধিক ম্যাচে সাফল্য দিয়েছেন। দলকে জেতাতে সাহায্য করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত ২০১৮-'১৯ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধেই প্রথম বার টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল।
২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোহলি নিজেই এই ফর্ম্যাটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। এর পর ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে তাঁকে সরানো হলে, তিনি নিজে থেকে টেস্ট অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেট-রক্ষক রশিদ লতিফ মনে করেন যে, কোহলির মধ্যে দলকে আইসিসি-র শিরোপা জেতানোর ক্ষমতা ছিল। কিন্তু তিনি দলের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং রাজনীতির জন্য শিকার। যার জেরে তিনি আইসিসি-র ট্রফি জেতাতে পারেননি।
লতিফ তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিয়োতে বলেছেন, ‘বিরাট কোহলির একটি লক্ষ্য ছিল এবং তিনি জিততে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দল অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে পারফর্ম করতে পারেননি। ভারত আইসিসি টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে পারেনি ভারত, কারণটা কোহলি জন্য। সম্ভবত অধিনায়ক পছন্দসই খেলোয়াড় পাননি। অথবা হয়তো তিনি পেলেও, সেই প্লেয়ারদের ব্যবহার করা হয়নি।’
আরও পড়ুন: ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে হবে- অতিরিক্ত পরীক্ষাই ডুবিয়েছে ভারতকে, স্বীকার করলেন দ্রাবিড়
সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘টিম ইন্ডিয়া এখনও বেশ ভালো। ওরা চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করার লোক পেয়ে যাবে। সমস্যাটা হয়, যখন শীর্ষ তিন ব্যাটার দ্রুত আউট হয়ে যায়। যদি শীর্ষ তিন ব্যাটার ২৫-৩০ ওভার খেলে, তবে ওরা সহজেই ম্যাচ জিতবে। ওদের সমস্যা হল, শীর্ষ তিন ব্যাটার আগের মতো পারফর্ম করছে না। ভারত শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে আনতে পারত,যে কিনা এক বছরও হয়নি. দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতের হাতে প্লেয়ার ছিল। তবে তাদের হাতে খেলোয়াড় ছিল, কিন্তু তাঁদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
বিরাট কোহলি, যিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজের অংশ ছিলেন না, তিনি ফের ৩০ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা এশিয়া কাপে ফের জাতীয় দলের জার্সিতে লড়াই শুরু করবেন। হতো গড়বেন আরও নজির।