বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচগুলি। যেখানে খেলতে দেখা যাবে একাধিক তারকা ভারতীয় ক্রিকেটারদের। তবে সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে রেলওয়েজ বনাম দিল্লি ম্যাচের দিকে। কারণ অবশ্যই অজানা নয় কারোর। প্রায় ১২ বছর পর রঞ্জিতে ব্যাট হাতে দেখা যাবে বিরাট কোহলিকে। শেষবার ২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদে ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। সেখানে প্রথম ইনিংসে ১৪ রান করেছিলেন বিরাট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪৩ রান। দুটি ইনিংসেই ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হয়েছিলেন কোহলি। এতবছর পর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে নামার আগে কোনও খামতি রাখতে নারাজ তিনি। সেই কারণে জোর কদমে অনুশীলন করছেন। মঙ্গলবারের পর, বুধবারও এক ঘণ্টার উপর নেটে ব্যাটিং করলেন বিরাট।
সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে খুবই খারাপ ফর্মের দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। অস্ট্রেলিয়া সফরে একটি মাত্র সেঞ্চুরি বাদে বাকি ইনিংসে ব্যাট হাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বারবার অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হয়ে গেছেন বিরাট। রঞ্জিতে কামব্যাকের আগে সেই পুরোনো ‘রোগ’ সারাতেই বিশেষ অনুশীলন করছেন কোহলি। আগামিকালের ম্যাচের আগে প্র্যাক্টিসে বেশ খোশ মেজাজে ধরা দেন বিরাট। অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ৩-১ ব্যবধানে হারের পর সমালোচনা শুরু হয়েছিল রোহিত-বিরাটদের নিয়ে। এই দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে রান আসেনি একদমই। এরপরে হারের কারণ পর্যালোচনা করতে বসে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়। যার মধ্যে একটি ছিল, এখন থেকে সময় পেলে বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে বিরাটদের।
সেই মতো রঞ্জির আগের গ্রুপ ম্যাচে খেলতে দেখা যায় রোহিত-যশস্বীদের। খেলেননি বিরাট কোহলি। জানিয়েছিলেন, তাঁর ঘাড়ে চোট রয়েছে। তবে দিল্লির হয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলবেন বিরাট। সেই মতো সোমবার দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। এরপর গত তিন দিন ধরেই লাগাতার অনুশীলন করছেন কোহলি। নজর দিচ্ছেন নিজের কমজোরির উপর। সামনে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে রানে ফিরতে মরিয়া স্বয়ং কোহলিও। সেই কারণে নিজের ভুল-ত্রুটিগুলিকে কাটিয়ে উঠে ঘুরে দাঁড়াতে একটু বেশিই বদ্ধপরিকর বিরাট। তাই নো ঢিলেমি অনুশীলনে। তবে নিজের লক্ষ্যে তিনি কতদূর সফল হন সেটা বোঝা যাবে আগামী দিনগুলিতে।