ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বরাবরই স্পষ্টবক্তা। চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর কথাবার্তাও নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারেরই মতো একদম সোজাসাপটা। খুব বেশি রাখঢাক রেখে কথা বলতে পছন্দ করেননা নজফগড়ের নবাব। সদ্য ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদে বসেছেন গৌতম গম্ভীর। এক সময় জাতীয় দলে এবং দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে তাঁর সতীর্থ। ভারতীয় দলে অনেক কোচের কাজ করা যেমন চ্যালেঞ্জিং ছিল, গৌতির ক্ষেত্রে তেমন হবে না বলেই মত বীরুর।
কোচের পদে দায়িত্ব নিয়ে টি২০ সিরিজ জিতলেও শ্রীলঙ্কায় ওডিআই সিরিজে হারতে হয়েছে গৌতির ভারতকে। যদিও সেসব নিয়ে বীরু খুব বেশি না ভাবলেও, ভারতীয় দলের কোচের পদে গৌতম গম্ভীরের কাজ করা যে খুব একটা চ্যালেঞ্জিং হবে সেটাও মনে করছেন না বীরু। তাঁর মতে, এতই হাইপ্রোফাইল দল, সেরা সেরা তারকা ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ কোচিং স্টাফ মর্নি মরকেলের মতো থাকার ফলে গৌতির কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও বাধাই আসবে না, বরং পথ মসৃণই হবে। প্রসঙ্গত ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপ পর্যন্ত ৩ বছরের চুক্তিতে ভারতীয় ক্রিকেট হেড কোচ পদে বসেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।
ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার ইচ্ছা না থাকলেও আইপিএলে সুযোগ পেলে কোচিং করাতে চান ওডিআইতে এক ইনিংসে ২০০, টেস্টে ৩০০ রান করা সেহওয়াগ। বীরু বলছেন, ‘ভারতীয় দলে কোচিং করাতে চাইনা, তবে আইপিএলে সুযোগ পেলে নিশ্চয় করব। আমি যদি ভারতের কোচ হই তাহলে আবার সেই পুরোনো রুটিনে ফিরতে হবে, যেটা আমি ১৫ বছর কাটিয়ে এসেছি। ভারতের জন্য খেলতে গেলে ৮-৯ মাস সফর করতে হয়। আমার এক ছেলের বয়স ১৪, আরেক ছেলের বয়স ১৬। ওদের দুজনেরই আমায় দরকার,ওরা দিল্লি দলে খেলে। একজন ব্যাটার, আরেকজন অফ-স্পিনার। আমায় ওদেরকে সাহায্য করতে হয়, কিন্তু আমি যদি ভারতের কোচ হই তাহলে ওদের থেকে দূরে থাকাটা আমার পক্ষে খুব কঠিন কাজ হবে। আমি ওদের সময় দিতে পারব না, তাই আইপিএলে কোচিং বা মেন্টর হওয়ার সুযোগ পেলে আমি নিশ্চয় সেই পদ নিতে রাজি আছি ’।
আরও পড়ুন-গ্রামের মানুষ ক্রিকেটের নাম শুনলে রেগে যেত! এখন সেখানেই তিনি হিরো! বলছেন RCB তারকা
উল্লেখ্য আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলে খেলার পাশাপাশি কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়েও দীর্ঘদিন খেলেছেন বীরু। ফলে আইপিএলের মান সম্পর্কে যথেষ্টই ওয়াকিবহল তিনি। সতীর্থ সচিন তেন্ডুলকর, জাহির খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, গৌতম গম্ভীররা কোচিং বা মেন্টর হিসেবে যুক্ত থাকায় বীরুও তাই নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েই দিলেন।