আইপিএলে আর কয়েকটা ম্যাচের অপেক্ষা। তারপর মন চাইলেও আর ব্যাট হাতে হয়ত দেখা যাবে না মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। যদিও তিনিই নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেন, কিন্তু যে পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে তাতে তার খেলা চালিয়ে যাওয়া মানে দলকেই বিড়ম্বনায় ফেলা। শুরুর দিকে বোঝা যায়নি ধোনির শারীরিক সমস্যা কতটা রয়েছে, কারণ প্রবল যন্ত্রণা তিনি বুঝতে দেননি। সমর্থকদের ভালোবাসার কথা ভেবে নির্দ্বিধায় খেলে গেছিলেন। কিন্তু আইপিএলের মাঝপর্বেই দেখা যায় সিএসকের তারকা পিঠের ব্যথায় কাবু। পায়েও আইস ব্যাগ লাগাতে হচ্ছে। চেন্নাই সুপার কিংসকে দিয়েছেন ৫টি আইপিএল। ফলে তাঁর প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা রয়েছে সমর্থক, কোচ, ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের। তাই তাঁরাও চান ধোনি যেন খেলা চালিয়ে যান, কিন্তু আর হয়ত খুব বেশিদিন তা সম্ভব হবে না। এরই মধ্যে অদ্ভূত দাবি করে বসলেন ধোনির নেতৃত্বে জাতীয় দলে খেলা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। সিএসকে নাকি ধোনিকে অধিনায়ক করতে চায়নি, জানাচ্ছেন বীরু।
আরও পড়ুন-IPL 2024- সংখ্যাতত্ত্বে বিরাটদের এগিয়ে রাখছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার, বলছেন ১৮ মে খুব পয়া ওদের
নজফগড়ের নবাব বীরেন্দ্র সেহওয়াগ বরাবরই এমন কথা প্রকাশ্যে এনে দেন, জাতে আলোড়ন পড়ে যায় ক্রিকেটে। এবার তিনি দাবি করলেন, মহেন্দ্র সিং ধোনিকে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক হিসেবে ভাবাই হয়নি শুরুর দিকে। ২০০৮ সালে প্রথম আইপিএল শুরুর আগে তাঁর কাছে ছিল প্রস্তাব। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব না গ্রহণ করতেই সিএসকে তাঁদের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নেয় মাহিকে। নিজের আইপিএল কেরিয়ারে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং পঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলেছেন বীরু।
আরও পড়ুন-৫ বছর পরে IPL-এ পেরোলেন ৪০০ রানের গণ্ডি! তাও নিজের খেলায় বিরক্ত রোহিত
সেহওয়াগ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ চেন্নাইয়ের তখন দল গড়ার দায়িত্বে ছিলেন ভিবি চন্দ্রশেখর। আমায় উনি ফোন করে বলেছিলেন দিল্লি তোমায় আইকন প্লেয়ার হিসেবে নিতে চাইছে। তুমি ওদের প্রস্তাবে সম্মতি দিও না। আমরা তোমায় নিতে চাই, এরপর আমি বলেছিলাম ঠিক আছে, দেখা যাক’। এরপর দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের তরফ থেকে প্রস্তাব আসতে আর নিলামে ওঠেননি সেহওয়াগ। তিনি স্পষ্টতই দাবি করেছেন, তখন যদি তিনি রাজি হতেন তাহলে সিএসকে তাঁকে অধিনায়ক করত, তিনি রাজি না হওয়াতেই ধোনিকে নেয় তাঁঁরা।
আরও পড়ুন-জুড়ছে আরও ২ দল, IPL-র সঙ্গেই খেলা হবে PSL! প্লেয়ার পাবে তো পাকিস্তান?
সেহওয়াগের এই দাবির পর অবশ্য ধোনিভক্তদের একাংশ তাঁকে ধন্যবাদই দিয়েছেন। কারণ বীরেন্দ্র সেহওয়াগ দিল্লি ক্যাপিটালসে প্রায় ৬ বছর থাকলেও একবারও তাঁর দল চ্যাম্পিয়ন হয়নি, এরপর পঞ্জাবে গেলেও তিনি দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। ধোনি অবশ্য ইতিমধ্যেই দলকে পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করে প্রতিযোগিতার ইতিহাসে অন্যতম সফলতম অধিনায়ক।