বেশ কিছু বছর ধরে ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (NCA) প্রধান পদে রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। রাহুল দ্রাবিড় জাতীয় দলের হেড কোচ হওয়ার পরেই তিনি এই দায়িত্ব পান। তবে আর এই পদে থাকতে চাইছেন না বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ভিভিএস। সেই মতো ইস্তফা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখনই তাঁকে ছাড়তে রাজি নয়। আরও বেশ কিছুদিন NCA-এর দায়িত্বে দেখা যাবে লক্ষ্মণকে। বিগত কয়েক বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে নিজের কাজ করে এসেছেন তিনি। তবে বর্তমানে পরিবারকে সময় দিতে চান জাতীয় দলের এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। NCA-এর প্রধান হওয়ায় তাঁকে বেশিরভাগ সময়টাই বেঙ্গালুরুতে কাটাতে হয়। শুধু তাই নয়, মাঝে মাঝে দলের সঙ্গে বিদেশ সফর করতেও হয় তাঁকে।
মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯ টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে কুয়ালালামপুর যেতে হয়েছিল তাঁকে। ফেরেন দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর। সেই কারণেই দায়িত্বে আর থাকতে চায়নি লক্ষ্মণ। এবার ক্রিকেটের মায়া কাটিয়ে হায়দরাবাদে নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চাইছিলেন তিনি। সেই মতো বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কিন্তু তাঁরা কোনওভাবেই এখনই ভিভিএসকে ছাড়তে চাইছেন না। কারণ ভারতের সামনে ঠাসা প্রতিযোগিতা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, তারপর রয়েছে মহিলাদের বিশ্বকাপ। সামনের বছর রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। বোর্ডের কয়েকজন শীর্ষকর্তা ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁকে পুরো বিষয়টা বোঝান। এরপরেই ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান পদে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
জানা যাচ্ছে যে চুক্তি নবীকরণ করা হবে তাঁর। বৈঠকে এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই পদে থাকবেন ভিভিএস। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা জানিয়েছেন যে এখনই দায়িত্ব ছাড়বেন না তিনি। নিজের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে মত দিয়েছেন লক্ষ্মণ। উল্লেখ্য, ভিভিএস লক্ষ্মণ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। ভারতের হয়ে ১৩৪টি টেস্ট এবং ৮৬টি ওডিআই খেলেছিলেন তিনি। লাল বলের ক্রিকেটে রান করেছিলেন ৮,৭৮১, গড় ৪৫.৯৭। অন্যদিকে ওডিআই ক্রিকেটে রান করেছেন ২,৩৩৮, গড় ৩০.৭৬। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। খেলা ছাড়লেও ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন লক্ষ্মণ।