পাকিস্তানে কোক স্টুডিওর মঞ্চে আচমকাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাতে নিয়ে হাজির হলেন ওয়াসিম আক্রম। দর্শকদের মাঝে সেই ট্রফি তুলে ধরে দেখালেন তিনি। সেখান থেকেই বড় মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ICC এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে জানায়নি টুর্নামেন্ট কোথায় এবং কীভাবে আয়োজিত হবে। তবে আক্রম আশাবাদী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পাকিস্তানেই আয়োজিত হবে বলে। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। অনেক দিন ধরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ আয়োজন নিয়ে PCB এবং BCCI-এর মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল। একদিকে PCB চাইছিল পুরো টুর্নামেন্ট নিজেদের দেশে আয়োজিত করতে, অন্য দিকে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল তারা সে দেশে খেলতে যাবে না। এরকম পরিস্থিতিতে ওয়াসিম আক্রমের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে ট্রফি হাতে নিয়ে মঞ্চে উঠে আসেন ওয়াসিম আক্রম। তারপর তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের আবেগ হল খাঁটি পাকিস্তানি আবেগ। এটা হল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, যা আগামী বছর আমাদের দেশে আয়োজিত হবে।’ পরবর্তীতে তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করতে পুরোপুরি প্রস্তুত।’ তবে কিসের ভিত্তিতে আক্রম এতো জোর দিয়ে এই কথা বললেন তা জানা নেই। বাস্তবে কিন্তু পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। এই মুহূর্তে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ভারত নিরাপত্তার ইস্যু দেখিয়ে পাকিস্তান সফরে যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, ICC এক বৈঠকে ঠিক করেছে পাকিস্তানের পাশাপাশি দুবাইকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। ভারত তাদের ম্যাচগুলি সেখানেই খেলবে। এছাড়াও সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচগুলিও সেখানেই আয়োজিত হবে। এই বিষয়টি নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে সব পক্ষই। তবে আরও একটি শর্ত দিয়েছিল পাকিস্তান। তারা বলেছিল ভারত তাদের দেশে না এলে তারাও আমাদের দেশে আসবে না, তা মেনে নিয়েছে BCCI। সেই ক্ষেত্রে ভারতে আয়োজিত ICC ইভেন্টের ক্ষেত্রেও হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করতে হবে। সেই মতো ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতে আয়োজিত সব ICC ইভেন্টের ক্ষেত্রেই হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ আসন্ন মহিলাদের ওডিআই বিশ্বকাপ এবং পুরুষদের টি-২০ বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভারত সফরে আসবে না। তাদের খেলাগুলি অন্য কোনও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজিত হবে। যদিও পাকিস্তানের তরফে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছিল।