এক দুদিন পরই চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ। এমনিতে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই ধরণের সিরিজের আগে তেমন চর্চা হত না, কারণ ধরেই নেওয়া হত ঘরের মাঠে ভারতই জিতবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হোয়াইটওয়াশের প্রেডিকশনই করা হত। কিন্তু এবারের পটভূমি একটু আলাদা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এই বোধহয় প্রথমবার বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা ভারতে এসেছেন রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেওয়ার মানসিকতার নিয়েই। আর ক্রিকেটভক্তরাও কেউ বলতে পারছেন না ১০০ শতাংশ ভারতই ম্যাচ জিতবে। তার কারণ সদ্য পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে তাঁদেরকেই হোয়াইটওয়াশ করেছে টেস্ট ফরম্যাটে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
আরও পড়ুন-৩ স্পিনার,২ পেসার! বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে কেমন হতে পারে ভারতীয় দল…
বিশেষ করে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ এখন আগের থেকে অনকে ক্ষুরধার হয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়াও যে তাঁদের দল প্রস্তুত সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন নাহিদ রানা, মেহেদি হাসান মিরাজরা। ভারতের স্পিন সহায়ক উইকেটে যদি ভারতকে পরের দিকে ব্যাটিং করতে হয় সেক্ষেত্রে মিরাজ শাকিবের স্পিন সমস্যায় ফেলতে পারে টিম ইন্ডিয়াকে। কারণ বেশ কয়েকজন এমন ব্যাটার ভারতে রয়েছেন, যারা পেস বলের ক্ষেত্রেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। এই আবহেই রোহিকদের সতর্ক করলেন প্রাক্তন টেস্ট ওপেনার ওয়াসিম জাফর ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদে কাজ করে এসেছেন ওয়াসিম জাফর। তিনি বলছেন, ‘ এবারে বাংলাদেশ দল অনেক বেশি অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। আগে ওরা নিজেদের ঘরের মাঠে ভালো খেলত, সেটা সকলে জানত। কিন্তু এখন ওরা বিদেশের মাটিতেও ভালো লড়াই দিচ্ছে। ওরা নিউজিল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে বে ওভালে হারিয়ে এসেছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময় পাকিস্তানে গিয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে পরপর দুটো টেস্টেই জিতে এসেছে। সিমিত ওভারের ফরম্যাটে ওরা বিদেশের মাটিতে মাঝে মধ্যেই ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে। বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছে মুশফিকুর রহিম, শাকিব আল হাসানের পর যারা দলের জুনিয়রদের ভালো গাইড করে। ফলে ওরাও ভালোই লড়াই দেবে’।
জাফর আরও বলছেন, ‘ মেহেদি হাসান আর নাজমুল হোসেন শান্ত আমার সময় থেকেই খেলছে। শান্তকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, এরপর আমার সঙ্গে ওর কথাও হয়। আর মেহেদির লড়াই করার মানসিকতা প্রবল। বাংলাদেশ আগের তুলনায় মানসিকতায় বদল এনেছে। এখন আর স্পিন সহয়াক নয়, বাউন্সি উইকেটে খেলতে চায় ওরা, এমন কি নিজেদের দেশে খেলা হলেও। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেছিল মূলত জোরে বোলিংয়ের ওপর ভরসা করেই, সেই সিরিজ থেকেই তাই ওরা মানসিকতার কিছুটা পরিবর্তন শুরু করে’।