ঋষভ পন্ত এক হাতে শট নেওয়া মানে সেই শটে অবধারিতভাবে বাউন্ডারির ঠিকানা লেখা থাকে। রবিবার গোয়ালিয়রে এক হাতে শট খেলে বাউন্ডারি মারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। বড় শট নেওয়ার চেষ্টায় হামেশাই ঋষভ পন্তের হাত থেকে ব্যাট ছিকটে যেতে দেখা যায়। গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে হার্দিকের হাত থেকে ব্যাট উড়ে গেল স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে।
সব মিলিয়ে গোয়ালিয়রে ঋষভ পন্তের নতুন সংস্করণ হয়ে দেখা দেন পান্ডিয়া। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের ১২তম তথা ম্যাচের শেষ ওভারে তাসকিনের বলে এমন একটি দুরন্ত শট খেলেন হার্দিক, যেটা শুধু তাঁর পক্ষেই সম্ভব। পন্তকে হামেশাই নো লুক শটে ছক্কা হাঁকাতে দেখা যায়। তবে কোনও ব্যাটার না দেখে ব়্যাম্প শট খেলছেন, এমনটা আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা সন্দেহ।
দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১১৬ রান। সুতরাং, জিততে ৯ ওভারে মোটে ১২ রান দরকার ছিল ছিল টিম ইন্ডিয়ার। তাসকিনের ওভারের তৃতীয় বলে না দেখেই ব়্যাম্প শট খেলে দেন হার্দিক। বল চলে যায় বাউন্ডারি লাইনের বাইরে।
ওভারের চতুর্থ বলে সজোরে ব্যাট চালান হার্দিক। তাঁর হাত থেকে ব্যাট পিছলে উড়ে যায় স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে। বল চলে যায় পয়েন্টের পাশ দিয়ে বাউন্ডারি লাইনের বাইরে। সেই বলেও আসে চার রান। ওভারের পঞ্চম বলটিকে কার্যত থাপ্পড় মারেন হার্দিক। সেই বলে আসে ছয় রান। ভারত ম্যাচ জিতে যায় সেখানেই।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে টস জেতে ভারত। সূর্যকুমার যাদব শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাংলাদেশকে। তারা ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৫, নাজমুল হোসেন শান্ত ২৭, তৌহিদ হৃদয় ১২, তাসকিন আহমেদ ১২ ও রিশাদ হোসেন ১১ রান করেন।
ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আর্শদীপ সিং ও বরুণ চক্রবর্তী। ১টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া, মায়াঙ্ক যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর। উইকেট পাননি নীতীশ রেড্ডি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ১১.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৩২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। সঞ্জু স্যামসন ২৯, অভিষেক শর্মা ১৬, সূর্যকুমার যাদব ২৯, নীতীশ রেড্ডি অপরাজিত ১৬ ও হার্দিক পান্ডিয়া অপরাজিত ৩৯ রান করেন। ম্যাচের সেরা হন আর্শদীপ।