ম্য়াচ টাই হলে সুপার ওভারের রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখতে পাওয়া স্বাভাবিক বিষয়। তবে খেলাই হল না, অথচ সুপার ওভার অনুষ্ঠিত হল, এমন ছবি সচরাচর দেখা যায় না। উত্তরপ্রদেশ টি-২০ লিগে ঠিক তেমন ঘটনাই চোখে পড়ল। তাও সাধারণ কোনও লিগ ম্যাচ নয়, বরং টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের মতো প্লে-অফ ম্যাচের নিষ্পত্তি হল শুধু মাত্র এক ওভারের টাই-ব্রেকারে।
ইউপি টি-২০ লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে লড়াই ছিল সমীর রিজভির কানপুর সুপারস্টার্স ও প্রিয়ম গর্গের নেতৃত্বাধীন লখনউ ফ্যালকনসের মধ্যে। টানা বৃষ্টিতে একানা স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজিত হওয়া নিয়ে প্রবল সংশয় ছিল। শেষমেশ সেই সংশয় সত্যিও প্রমাণিত হয়। ২০ ওভার প্রতি ইনিংসের খেলা হওয়া তো দূরের কথা, অন্ততপক্ষে ৫ ওভার প্রতি ইনিংসের ম্যাচও আয়োজন করা যায়নি।
বৃষ্টির সাময়িক বিরতি এবং মাঠকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পিচ ও আউটফিল্ড এক ওভারের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব হয়। নিয়ম মতোই স্থির হয় যে, সুপার ওভারে নির্ধারিত হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ভাগ্য। শেষমেশ ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১২ বলেও গড়ায়নি। দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয় মোটে ৮টি বল। আর তাতেই লখনউ ফ্যালকনসকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে কানপুর সুপারস্টার্স।
সুপার ওভারের ফলাফল
টস জিতে কানপুর সুপারস্টার্সের ক্যাপ্টেন সমীর রিজভি শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান লখনউ ফ্যালকনসকে। সামর্থ সিংকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে নামেন কৃতজ্ঞ সিং। কানপুর বল করতে পাঠায় আইপিএল স্টার মহসিন খানকে।
আরও পড়ুন:- দেশের হয়ে মাঠে নামলে IPL-এর কোনও দাম নেই, জো রুটের থেকে খোঁচা খেয়ে শিখেছেন জুরেল
মহসিনের প্রথম বলে বাই-হিসেবে ১ রান সংগ্রহ করে লখনউ। দ্বিতীয় বলে মহসিন আউট করেন সামর্থ সিংকে। ব্যাট করতে নামেন প্রিয়ম গর্গ। তিনি তৃতীয় বলে ২ রান সংগ্রহ করেন। চতুর্থ বলে চার মারেন প্রিয়ম। তবে পঞ্চম বলে আউট হয়ে বসেন লখনউ দলনায়ক। ৫ বলে ৭ রান তুলে ২ উইকেট হারাতেই লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:- IND v BAN: ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান কাদের? সেরা ৫-এ রয়েছেন কোহলি
জয়ের জন্য ৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নামে কানপুর। অভিষেক পান্ডেকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিজে আসেন সমীর রিজভি। লখনউ বল করতে পাঠায় অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারকে।
ভুবনেশ্বরের প্রথম বলে ১ রান নেন সমীর রিজভি। দ্বিতীয় বলে ১ রান নেন অভিষেক। তৃতীয় বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন সমীর। ৩ বলে বিনা উইকেটে ৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় কানপুর। ২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন মহসিন।