ওডিআই এবং টি২০ বিশ্বকাপে বাবর আজমের পাকিস্তান ক্রিকেট টিম নাস্তানাবুদ হলেও, ২০২৪ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসে একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন ইউনিস খান, শহিদ আফ্রিদিরা। তারা শুক্রবার টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে ক্রিস গেইল, ড্যারেন সামির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল।
ম্যাচ জিততে হলে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষ দুই ওভারে করতে হত ৪৯ রান। হাতে ছিল ৩ উইকেট। নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল, কিন্তু অসম্ভব লড়াই ছিল না। শোয়েব মালিককে ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রায়দ ইমরিত। এই ওভার থেকে ২২ রান হয়। কিন্তু শেষ বলে ইমরিতকে আউট করে পাকিস্তানকে অক্সিজেন দেন শোয়েব। শেষ ওভারে উইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ বলে ২৭ রান। কিন্তু ২০তম ওভারে সোহেল খান বল করতে এলে প্রথম তিন বলে দেন ৬ রান। এর পর চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে পরপর ২ উইকেট নিয়ে ১৭৮ রানে গুটিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এক বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় পাক ব্রিগেড।
এদিন টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ব্যাট করতে নেমে, শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলের ১০ রানের মধ্যে তারা তিন উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। শারজিল খান (০), শোয়েব মাকসুদ (১), শোয়েব মালিক (০) ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ফিডেল এডওয়ার্ডস ২ উইকেট নেন। জেরম টেলর নেন এক উইকেট। কিন্তু দলের হাল ধরেছিলেন কামরন আকমল এবং ইউনিস খান। তবে অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন আকমল। ৪৬ রানে ডোয়েন স্মিথের বলে বোল্ড হন আকমল।
আরও পড়ুন: KKR-এ গম্ভীরের পরিবর্ত কে? উঠে এল নাইট জার্সিতে IPL জয়ী প্রোটিয়া প্লেয়ারের নাম
এদিকে ছয়ে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন শহিদ আফ্রিদি। তিনি ১ করে সুলেমান বেনের বলে ক্যাচ আউট হন। মিসবা উল হককেও প্রথম বলে এলবিডব্লিই করেন বেন। ইউনিস খান ৬টি চার এবং ছয়ের হাত ধরে ৪৫ বলে ৬৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়া আটে নেমে আমির ইয়ামিনের ১৮ বলে অপরাজিত ৪০ রান এবং নয়ে নেমে সোহেল তানভিরের ১৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস পাকিস্তানকে দু'শোর কাছে পৌঁছে দেয়। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে তারা ৮ উইকেটে ১৯৮ রান করে। উইন্ডিজের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন এডওয়ার্ডস, বেন নিয়েছেন ২ উইকেট, ১টি করে উইকেট নিয়েছেন টেলর এবং স্মিথ।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল শুরুটা নিজের মেজাজে করতে পারেননি। তিনি ২২ করে আউট হলেও, সেই রান করতে নিয়ে নেন ২১ বল। আর এক ওপেনার ডোয়েন স্মিথও ২৪ বলে ২৬ করেন। তিনে ব্যাট করতে নেমে চ্যাডউইক ওয়ালটন ১০ বলে ১৯ করে সাজঘরে ফেরেন। জোনাথন কার্টার ৮ বলে ৭ করে রানআউট হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্ রান করেন অ্যাশলে নার্স। তিনি পাঁচে নেমে ২৪ বলে ৩৬ করেন। এছাড়া আটে নেমে ৪টি ছক্কা এবং একটি চারের সাহায্যে রায়দ ইমরিত ৯ বলে ২৯ করেন। এছাড়া বাকিরা এক অঙ্কের ঘরেই গড়াগড়ি খেয়েছেন। পাকিস্তানের হয়ে সোহেল খান ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ এবং শোয়েব মালিক।