প্রথম ম্যাচের একতরফা হার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে জয়ে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও নিতান্ত সহজে আসেনি জয়। বরং বলা ভালো যে, সহজ ম্যাচ কষ্ট করে জিততে হয়েছে প্রোটিয়াদের। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেনের কথায় হদিশ মিলল যে, বাকি সিরিজে নিজেদের পরিকল্পনা থেকে বিন্দুমাত্র সরে আসতে চান না তাঁরা।
কেবেরহায় নিজেদের বোলিং নিয়ে যারপরনাই খুশি মার্করাম। যদিও ব্যাটিংয়ে গলদ থেকে গিয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিতে কুণ্ঠা বোধ করেননি তিনি। তবে বিষয়টিকে যে শিক্ষা হিসেবে নিচ্ছে প্রোটিয়া শিবির, সেটা বোঝা যায় এডেনের কথাতেই।
ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রোটিয়া দলনায়ক এডেন মার্করাম বলেন, ‘আমি মনে করি যে, আমরা দারুণ বল করেছি। আমাদের পরিকল্পনা যথাযথ ছিল এবং সেটা দারুণভাবে বাস্তবায়িত করা গিয়েছে। ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে দেখলে মাঝ ইনিংসেই জয় নিশ্চিত করে ফেলা উচিত ছিল। তবে সেটা এই ম্যাচে সম্ভব হয়নি। পরপর উইকেট হারালে কাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের এটা শিক্ষা হিসেবেই নিতে হবে। আমি নিশ্চিতভাবেই বাকি সিরিজে নিজেদের ব্র্যান্ডের ক্রিকেট ধরে রাখতে চাইব।’
কোয়েটজি ও ত্রিস্তান স্টাবসের পারফর্ম্যান্সে অপ্লুত শোনায় প্রোটিয়া দলনায়ককে। এমনকি অ্যান্ডিল সিমেলেন ও পিটারের পারফর্ম্যান্সেও তৃপ্ত মার্করাম। তিনি বলেন, ‘ওরা (কোয়েটজিরা) একটা বিরতির পরে মাঠে ফিরছে। ওদের মধ্যে আগুনটা দেখে ভালো লাগছে। ওদের পারফর্ম্যান্স সত্যিই গর্বিত। বল হাতে সিমেলেন ও পিটার যে ভূমিকা পলন করে, এককথায় অনবদ্য। এই সব নতুন ক্রিকেটারদের পারফর্ম্যান্স অভিজ্ঞদের উদ্দীপ্ত করেছে সন্দেহ নেই।’
কেবেরহায় জিতে সিরিজে সমতা ফেরালেও এখনই অনেক দূর পর্যন্ত ভাবতে রাজি নন মার্করাম। বরং তিনি একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চাইছেন। তাঁর কথায়, ‘আমাদের একটি করে ম্যাচ ধরে এগোনো উচিত। আমরা এই ম্যাচ জিতেছি এবং সিরিজে সমতা ফিরিয়েছি তাতেই খুশি।’
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের ফলাফল
কেবেরহায় টস জিতে ভারতকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১২৪ রান তোলে। ৪৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। অক্ষর প্যাটেল ২৭ ও তিলক বর্মা ২০ রানের যোগদান রাখেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৬ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৪১ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ত্রিস্তান স্টাবস। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ৫টি উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ম্যাচের সেরা হন স্টাবস।